কাদেরের সহায়ক সরকারের ব্যাখ্যা সঠিক নয় : ফখরুল
সহায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ব্যাখ্যা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহায়ক সরকার নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা সঠিক নয়। সহায়ক সরকার বলতে আমরা যেটা বলছি তা হলো সম্পূর্ণ দলনিরপেক্ষ সরকার থাকবে। নির্বাচনকালীন এ সরকার কাজ করবে।’
সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সহায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের যে চিন্তা তার সঙ্গে বিএনপির সহায়ক সরকারের মিল নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সরকারি দলের ওপর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিশ্বাস এবং আস্থা থাকে না। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের কথা তারাও বলেছিলেন। এবং সেই সরকারের অধীনে তিনটি নির্বাচনও হয়ে গেছে। জনগণ তা গ্রহণও করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং একদলীয় শাসন করার জন্য ক্ষমতায় আসার পরে তা পুরোপুরি পরিবর্তন করে ফেলেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন তারা সেভাবে করেছে। এদেশের মানুষ সে নির্বাচন অংশগ্রহণ করেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। এজন্য এ সরকারের বৈধতাও নেই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এজন্য আমরা বলছি আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সহায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে, সব দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে; সেই ব্যবস্থা করেই আমরা আগামী নির্বাচনে যেতে চাই। আগামী নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণ হয়, আমরা সেটাই চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় আসতে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। কিন্তু এবার তারা তা করত পারবে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা কেউ আওয়ামী লীগের এমন চিন্তা মেনে নেবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। জনগণের কল্যাণে সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। ১৯৯১ সালে সংবিধানকে স্থগিত রেখে পরিবর্তন করা হয়েছে। সুতরাং মানুষের জন্যই তো সংবিধান। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন সংবিধান। তা পরিবর্তন করা যেতে পারে।’
কাদের সিদ্দিকী গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে তার আশু রোগমুক্তি কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খানসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এসআর/পিআর