‘অর্থমন্ত্রীর কথায় আমরা গুরুত্ব দেই না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৭

‘অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ইতোমধ্যে নাখোশ হয়ে গেছে। তাদের দলের লোকেরাই এটার (তার বক্তব্যের) বিরোধিতা করেছে। আমরা তার কথায় বেশি গুরুত্ব দেই না।’

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল অাবদুল মুহিতের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।

বিচার বিভাগে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সরকারের আবেদন খারিজ হওয়ার পর শুক্রবার সিলেটে অর্থমন্ত্রী বলেন ‘ষোড়শ সংশোধনী যতবার আদালত বাতিল করবে ততবার সংসদে তা পাস করা হবে’

‘ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে বিএনপির উৎফুল্লতা অচিরেই ধূলিসাৎ হবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কী বলল না বলল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আওয়ামী লীগ আজকাল একটু বেশি বেহাল হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি পথেরও মন্ত্রী আবার সেতুরও মন্ত্রী। তিনি নিজে সড়কের যে বেহাল অবস্থা করে রেখেছেন তাতে করে দেশের রাজনীতির আরও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের মনের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। এ রায়ে আমাদের উৎফুল্ল হওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকারের ন্যূনতম বিবেকবোধ এবং নৈতিকতার লেস থাকলে এ রায়ের ভিত্তিতে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাবে।

নতুন জোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন আমাদের জোটের সঙ্গে আসতে পারে। অন্যদিকে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য, সরকারের দমন নীতির বিরুদ্ধে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো জোট গঠন করে রাজনীতি, সংগ্রাম করতে চায়, সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে সম্মতি রয়েছে।

আজকে আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির রায় পড়ছেন আদালত, এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তারা তখনই হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। বিশ্বজিৎ তারই একটা অংশ। আমরা আশা করি অপরাধীদের সবোচ্র্চ শাস্তিই বহাল থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।

এমএম/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।