শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি সম্পন্ন
ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এ সংবর্ধনা দিতে এর আগে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ২০২ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার যৌথসভা এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার বর্ধিত সভা করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক জানান, পুরো অনুষ্ঠানটি দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে ও লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রেখে মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে উৎসবের একটি মর্মসঙ্গীত রচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এ সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। এরপর অভিজ্ঞানপত্র পাঠ ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সব শেষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন।
বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূগর্ভস্থ যাদুঘরের পাশের পানির ফোয়ারার ঠিক দক্ষিণ পাশেই উত্তর দিকে মুখ করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। মূল মঞ্চের দৈর্ঘ্য হবে ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। এর সামনেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে আরেকটি মঞ্চ। যার দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩৬ ফুট।
ডেকোরেশনের কাজে নিয়োজিত মো. বেলাল হোসেন জানান, মূল মঞ্চসহ ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২১০ ফুট প্রস্থের এলাকাজুড়ে টানানো হচ্ছে সামিয়ানা। এটাই হবে মূল প্যান্ডেল। এর মধ্যে ২০ হাজার চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজন হলে আরও ১০০ বর্গফুট এলাকা এর আওতায় আনা হবে। সেখানে বসানো যাবে আরও পাঁচ হাজার চেয়ার।
এএসএস/একে/এসআরজে