‘নির্বাচন বর্জনের ভাইরাসমুক্ত হতে পারেনি বিএনপি’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৭
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ভাইরাস থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের যে রোগে এই দল পড়েছে, তা এখনও সারেনি। এর প্রভাবে তারা কেবল নির্বাচন বর্জন আর বানচালের বুলি আওড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস মিলনায়তনে ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ সেমিনারের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জন্ডিস রোগীরা যেমন সবকিছু হলুদ দেখে, তেমনি বিএনপি নেতারাও সব হলুদ দেখছেন। তারা সব সময় নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন।

জনগণের ভোটাধিকারের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জন্ডিস থেকে মুক্ত হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামুন। আমরা বারবার বলে আসছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী।

বাংলাদেশ থেকে হেপাটাইটিস নির্মূলে জনসচেতনতা কার্যক্রমকে জোরদার ও সবার সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খাবার-দাবার, জীবন ধারণ এবং নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনে সতর্কতা অবলম্বনে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমাদের দেশে রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকেও সাবধান থাকতে হবে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার যথাযথ পদ্ধতি মেনে কাজ করে না। সরকার এ ধরনের নিম্নমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধ করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মানুষের রোগ ও স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করার মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাখালীর সাততলা বস্তিসহ অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ দখল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জমি মুক্ত করার অভিযানে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা সরকার কামনা করে। সে জায়গায় লিভার ইনস্টিটিউটসহ স্বাস্থ্যখাতের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

লিভার ও হেপাটাইটিস চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের রোগীরা বাংলাদেশে আসছেন, এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসা ও ওষুধের মান যে উন্নত হয়েছে, এটাই তার প্রমাণ। আমাদের চিকিৎসকরা যদি এই সেবার মানকে আরও উন্নত করতে পারেন, তবে আমাদের দেশেই বিদেশ থেকে প্রচুর রোগী আসবেন। সরকারও সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিডিসির লাইন ডাইরেক্টর সানিয়া তাহমিনা বক্তব্য রাখেন। এতে বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

পরে মন্ত্রী আইইডিসিআর-এ স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন ও সেখানকার কার্যক্রম দেখেন। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে আগত সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা এ সময় বাংলাদেশে স্থাপিত চিকুনগুনিয়া কন্ট্রোল রুমের রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় মন্ত্রী কন্ট্রোল রুমে আসা রোগীদের সঙ্গেও কথা বলে কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন। তিনি চিকুনগুনিয়ার জরিপ ও হটলাইন সেবার কাজ সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন।

আগামী বছর যেন কোনোভাবেই এ ধরনের রোগ বিস্তার না করতে পারে সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সমন্বিত ও কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের জন্য তিনি এ সময় সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।