দেশ বন্যায় ভাসলেও সরকারের চিন্তা নেই : নোমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৭

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, হাওড় ও উত্তর অঞ্চলসহ সারাদেশ এখন বন্যায় ভাসছে। দেশের বারোটা বেজে যাচ্ছে অথচ বন্যা নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা নেই।

এই বন্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আমাদের চালের মজুদের অভাব নেই। অথচ বন্যায় দুর্গত মানুষগুলো ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তারা রিলিফ পাচ্ছেন না। বন্যাদুর্গত এলাকায় যে সমস্ত চাল ও খাদ্য সামগ্রী যাচ্ছে সেগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছেন। 

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘হত্যা, নির্যাতন, গুম-অপহরণের কবলে সারা দেশ : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম নামের একটি সংগঠন আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

নোমান বলেন, এই অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা ভোট কেন্দ্রে মানুষ যেতে দেয়নি। তাই জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এ জন্য তারা বন্যায় দুর্গত গরীবদের নামে বরাদ্দের রিলিফও লুটপাট করছে। সরকারের এই চুরি ও নির্যাতন জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশে একটি নির্বাচন হতে হবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য। এটা নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল আলোচনা করতেই পারে। গতকাল জেএসডির সভাপতি আ.স.ম রবের বাসায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘরোয়া আলোচনা সভায়ও পুলিশ বাধা দিয়েছে। দ্রুত তাদের বৈঠক শেষ করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জবাবদিহিতার ভয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তারা জানে ক্ষমতা হারালে হত্যা, নির্যাতন ও লুটপাটের জন্য জনতার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না, জনগণ হতে দেবে না।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মো. আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপি নেত্রী খালেদা ইয়াসমিন, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নাগরিক দলের সভাপতি শাহজদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুক পীর প্রমুখ।

এমএম/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।