স্কুল-কলেজের আয়কর ফাঁকি তদন্ত করবে এনবিআর


প্রকাশিত: ০৭:১৯ এএম, ২১ মে ২০১৫

অনেকদিন থেকেই প্রকৃত আয় গোপন করে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলো বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য মাঠ পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এনবিআরের তথ্য মতে, ১৪০টি বেসরকারি স্কুল ২০১৪-১৫ আয়কর বর্ষে রিটার্ন জমা দিয়েছে। এর বিপরীতে কর দিয়েছে ৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২৮টি কলেজ দিয়েছে ৬ কোটি ৭৩ লাখ আয়কর। এ ছাড়া বেসরকারি ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে ৮৪ কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রায় ১৮ হাজার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল রয়েছে। নীতিমালা না থাকায় এই ধরণের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি লাখ টাকারও বেশী।

বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সম্পর্কে এনবিআর-এর উদ্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুসমাজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব মুজিবুদ্দৌলা সরদার।

একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক দিলরুবা জলিল। তিনিও মনে করেন, কর দেয়া নাগরিক দায়িত্ব। যারা কর প্রদান করছে না তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনবিআর ফর্দ অনুযায়ী, বছরে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার নীচে আয় হলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কর দিতে হবে না। শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে। পরবর্তী ৩ লাখ পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং আয় ৪৪ লাখ টাকার বেশী হলে ৩০ শতাংশ আয়কর দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ আয়কর দিতে হয়।

এনবিআরের তথ্য মতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী আয়কর দিয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। তাদের কর দেয়া টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

জেআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।