জিয়া পাকিস্তানের সেবাদাস ছিলেন : কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৫

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমান নামে মাত্র মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মূলত তিনি পাকিস্তানের সেবাদাস ছিলেন। তিনি (জিয়াউর রহমান) পাকিস্তানের স্পাই (গুপ্তচর) ছিলেন বলেই বেগম খালেদা জিয়া তার দুই সন্তানকে নিয়ে ক্যান্টমেন্টে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে নিরাপদে ছিলেন।

রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এক কথা বলেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখা ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসের মোড় ঘুরে যায়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না এলে গণতন্ত্রের পথ চিরদিনের জন্য রুদ্ধ থাকত। বঙ্গবন্ধু যখন জাতির হাল ধরেন, তখন বিশ্বে বৈরী পরিবেশ ছিল। ৭৪-এ দুর্ভিক্ষে যুক্তরাষ্ট্র খাবার পাঠাতে গিয়ে বন্ধ করে দেয়। এই চিত্র পাল্টে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন যে কোনো বিষয়েই চ্যালঞ্জ করতে পারে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন তাকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যেতে দেয়া হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর ছিলেন বলেই আজ তিনি গণমানুষের নেত্রী। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার জন্যই আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য বিশেষ আশীর্বাদ।

তিনি বলেন, জিয়ার শাসনামলে উত্তরবঙ্গের অনেক বোন পেটের জ্বালায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখিয়েছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চাল রপ্তানি করছি।

আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টার কারণেই ভারত সীমান্ত বিল পাস করেছে। খালেদা জিয়া অকৃতজ্ঞ বলেই শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে শুধু নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

কেআইবি ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখার সভাপতি কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেআইবি সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ,  কেআইবি’র মহাসচিব মোহাম্মদ মোবারক আলী প্রমুখ।

এএসএস/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।