ওই বাড়িতে আমার মৃত দুই ছেলের স্মৃতি ছিল


প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

‘বিএনপি করার কারণে, বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণেই বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ওই বাড়িতে আমার এবং আমার মৃত দুই ছেলের অনেক স্মৃতি ছিল।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সফিউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বিএনপি আইনজীবীদের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মওদুদ বলেন, ‘আজ বিরোধী দল করি বলেই রাজনৈতিক কারণে আমাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। ওই বাড়িতে আমার অনেক স্মৃতি ছিল। আমার দুই ছেলে ছিল। তারা মারা গেছে। তাদেরও অনেক স্মৃতি ছিল ওই বাড়িতে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে দাবি করা হয়েছিল বাড়িটি সরকারের। আদালত বার বার বলেছেন, বাড়িটি সরকারের নয়। এ রকম মামলা এর আগে আরও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের বাড়ি ফেরত দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনীতি করি বলেই আমাকে বাড়িটি দেয়া হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, নামমাত্র মূল্যে দেয়া বাড়ি আমি কেন টাকা দিয়ে কিনব।

পল্লীকবি জসীমউদদীনের নাতি এবং হাসনা মওদুদ ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দুই ছেলে আসিফ মওদুদ ও আমান মওদুদ।

moudud

আসিফ মওদুদ ১৯৭৩ সালের  ১০ নভেম্বর ও আমান মওদুদ ১৯৭৬ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৮০ সালের ৩০ মার্চ মাত্র ১২ বছর বয়সে মারা যান মওদুদের বড় ছেলে আসিফ মওদুদ। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার পথে ভোর সাড়ে ৪টায় সিঙ্গাপুরগামী একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হয় আমান মমতাজ মওদুদের।

প্রসঙ্গত, গুলশান-২-এর ১৫৯ নম্বরের একতলা বাড়িটিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন মওদুদ আহমদ। বাড়ির বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন (রিভিউ) ৪ জুন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ি অবশ্যই ছাড়তে হবে। বাড়িটা বর্তমানে নিয়ে নেয়া সরকারের দায়িত্ব। এরপর ৭ জুন বাড়িটি নিয়ন্ত্রণে নেন রাজউকের কর্মকর্তারা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এফএইচ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।