২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর : খালেদা


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ০৬ জুন ২০১৭

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ২০১৮ সাল হবে জনগণের বছর। সব জুলুম অত্যাচার অবিচার বছরটিতে বিদায় নেবে।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। এ আওয়ামী লীগ মানুষকে ভাওতা দেয়ার জন্য অনেক মিথ্যা কথা বলে কিন্তু কাজে কখনো পরিণত করে না। তারা মানুষকে আশা দিয়েছিলো ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে কিন্তু আজকে ১ কেজি চালের দাম ৫০ টাকা। গরিব মানুষের অবস্থা খারাপ। মাছ-মাংসের দামের কথা বাদই দিলাম। কোন সবজি ৪০-৫০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তার উপর আবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়েছে, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এখন কি উন্নয়ন করছে তারা? এতো বিদ্যুৎ দিবে বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। কিন্তু এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশ অন্ধকারে। এই হচ্ছে সত্যিকার আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আজকে দেশে আইনের শাষন বলে কিছু নেই। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। কারণ বিচারবিভাগ বিচারকরা নয় নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। এদের হাত এতো লম্বা যে কিছুইকেই পরোয়া করে না। তারা কাউকে সম্মান দিতে যানে না। পুলিশ-শিক্ষকের গায়েও তারা হাত তুলছে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা চুরি করতে করতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি করে পাচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় তদন্ত কি হয়েছে কেউ যানে না। সেই তদন্ত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা ছিলো। সেখানেও আগুন লাগলো।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পত্রিকা খুললেই দেখা যায় গুম-খুন। প্রতিনিয়ত গুম-খুনের ঘটনা চলছে। নারী নির্যাতন এতো বেড়ে গেছে যে, ঘরে বাইরে কেউ নিরাপদ নয়। শিশুরাও নিরাপদ নয়।

তিনি আরও বলেন, এদের কাছে ভালো কি আশা করবেন, নির্বাচন আসলে তারা এতো মিথ্যা কথা বলে, অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবে কিন্তু হিসাব চাইলে সেটা তারা মেলাতে পারবে না।

তিনি বলেন, এই বারের বাজেটে সরকার মানুষের পকেটেও হাত দিয়েছে। এর ফলে ব্যাংকে টাকা রাখতে কেউ সাহস করবে না। এক লাখ টাকা রাখলে বছরে ৮০০ টাকা কেটে নেবে, তাহলে থাকবে কি? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, যার ১ লাখ টাকা থাকবে সে বড়লোক। তাহলে আপনাদের হাজার হাজার কোটি টাকার কি হবে?

ইফতার মাহফিলে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ড. কর্ণেল অলি আহমেদ, জামায়াত ইসলামের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গণি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকিব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবু তাহের, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রেহানা প্রধান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।

এমএম/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।