দুর্নীতির অর্থ জোগান দিতেই এ বাজেট : খসরু


প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ০১ জুন ২০১৭

‘দুর্নীতির অর্থ জোগান দিতেই লুটপাটের এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার বিকালে বনানীর হোটেল রিজেন্সির নিজ কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক প্রতারণা শেষে সরকার অর্থনৈতিক প্রতারণায় নেমেছে। সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে দুর্নীতির অর্থের জোগান দিতে লুটপাটের বাজেট দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক লুটপাটের অর্থনীতির মডেল অনুসারে এ বাজেট দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে আর্থিক খাতের যে লুটপাট হয়েছে জনগণের পকেট কেটে সেই ঘাটতি মেটাতে এ বাজেট দেয়া হয়েছে।’

আবগারি শুল্ক বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যখন কমে যাচ্ছে তখন আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এটা অর্থনীতির কোনো সূত্রে মেলে না। এটা অমানবিক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেট গণবিরোধী, এ ধরনের শব্দ আমি ব্যবহার করছি না। এটা জনগণের পক্ষে যাবে না।

বাজেট নিয়ে দলের পক্ষ থেকে কখন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে- এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও জানান, আমরা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ধরে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাব।

যদিও বাজেট ঘোষণার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে অনির্বাচিত সরকার যে বাজেট দিচ্ছে তার কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ বাজেট জনকল্যাণে নয়, রাজনৈতিক স্বার্থে দেয়া হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব।’

বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি হাইকমান্ডের ব্যাপার। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’

এমএম/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।