মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে প্রতিবাদ হতে পারে না
দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে প্রতিবাদ হতে পারে না। এমন মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও বিআরটিএ`র সদর কার্যালয়ে এক মত বিনিময় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর জন্য যদি মনে করা হয়, পথচারী বা রিকশা আরোহির দোষ নাই, তাহলে ড্রাইভার বেপরোয়া ছিল। নিয়ম মানেনি, যদি ড্রাইভার বেপরোয়া হয়, তার শাস্তি হবে। সেই ড্রাইভারকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, ওই যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঢাকা আরিচা মহাসড়ক, এ রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়েছিল, এর মধ্যে বৃদ্ধ আছে, মুমূর্ষু নারী আছে শিশু আছে, এ যে হাজার হাজার মানুষ যানজটের কবলে পড়েছিল, তাদেরকেও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। দুই জনের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তি হতে পারে না। এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকেই অনুরোধ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা এ ধরনের অযোক্তিক এ ধরনের নির্মম প্রতিবাদের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করবেন না। রোজার মাসে যদি ওই সব ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়, যাত্রী সাধারণ যাবে কোথায়? কার কাছে বিচার চাইবে।
তিনি বলেন, সব কিছু সরকারের উপর ছেড়ে দিলেতো হবে না, সরকারতো বিচার করবে, ছাত্র মারা গেছে, অবশ্যই ড্রাইভারের বেপরোয়ার জন্য মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তার বিচার হতে হবে। তাই বলে আপনি রাস্তায় লাখ লাখ মানুষকে কষ্ট দেবেন এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হাসপাতালে একজন রোগী মারা গেলো সেটা যদি ডাক্তারের ভুলেও হয়, তখন দেখা যায় হাসপাতালের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। তার প্রতিবাদে সারা দেশে ডাক্তাররা ধর্মঘট করে। মারা গেল একজন, ভুল চিকিৎসা দিলো দুই একজন ডাক্তার কিন্তু শাস্তি দেয়া হবে পুরো হাসপাতালকে এবং ভর্তি হওয়া রোগীদের। এর প্রতিবাদে সারা দেশে হাসপাতাল বন্ধ। একজনের মৃত্যুর জন্য হাজার হাজার মুমূর্ষু মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলা কোনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।
এইউএ/এআরএস/এমএস