‘শেখ হাসিনা দেশকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছেন’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুরনো অন্ধ, বন্ধ্যা, বাকশালের লাশ পুনরুজ্জীবিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই বিরোধী দল শূন্য করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বর্তমান গণবিরোধী সরকার। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছেন। সর্বশক্তি নিয়োগ করেই বিরোধী দলহীন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভে বাধা ও নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতাসীন হওয়ার পরেই জনগণের অমোঘ শক্তির কথা ভুলে যায়। শেখ হাসিনা অভিনব রণকৌশল আবিষ্কার করেছেন শুধুমাত্র তার একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনকে প্রসারিত করার জন্য। সেক্ষেত্রে বিবেকহীন, অমানবিক হাড়শীতল অপকৌশল গ্রহণ করতে কোনরকম বিচলিতবোধ করেন না তিনি।
যেমন-সাবেক সাংসদ এম ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হীরু, চৌধুরী আলম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর অপহরণের অব্যাহত নির্দয়-নিষ্ঠুরতা চালানো হচ্ছে, অন্যদিকে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর নোংরা খেলা জনগণ প্রত্যক্ষ করছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, অপকর্ম, অনাচার কখনো চাপা থাকে না, মিথ্যা দিয়ে সেটি আড়াল করা যায় না। ২০১৪ সালে শাহবাগে এক আওয়ামী লীগ নেতা তার নিজ পরিবহনে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে ১১ জনকে হত্যার ঘটনার সত্যতা এখন আওয়ামী নেতাদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসছে। আসল সত্যকে কখনোই আড়াল করে রাখা যায় না। অথচ বিএনপি নেতাদের ওপর আওয়ামী নেতাদের সৃষ্ট জ্বালাও পোড়াও ও সন্ত্রাসের দায় চাপিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, এই চক্রান্তমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে বিএনপির অনেক জাতীয় নেতাকে জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জা করেই বিরোধী দলের ওপর হামলা-মামলা-কারা নির্যাতন এমনকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার করা হয়।
এমএম/এএইচ/আরআইপি