‘দাওয়াতপত্র নিয়ে সস্তা রাজনীতি বিএনপির’


প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ০৯ মে ২০১৭

বিএনপির ভিশন ২০৩০ ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনের দাওয়াতপত্র নিয়ে দলটি সস্তা রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দাওয়াতপত্র নিয়ে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আগেই আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সময় নেয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি জেনেশুনেই ওই সময়ে দাওয়াতপত্র নিয়ে এসেছিল। (সোমবার, ৮ মে) সকাল থেকে আমাদের সংসদ সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছিল। একইদিন জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের মুলতবি থাকায় কেউই কার্যালয়ে ছিলেন না। বিএনপি এই দাওয়াতপত্র নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার রাজনীতি করছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংবাদ সম্মেলনের জন্য কীসের দাওয়াত? তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন এটা আমরা গণমাধ্যমে দেখব।

এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দাওয়াত দেয়া, একটা সস্তা রাজনীতি করতে চেয়েছে বিএনপি। এটা দাওয়াতের কোনো বিষয় নয়। এই দাওয়াতের মাধ্যমে তারা সস্তা জনপ্রিয়তা নিতে চেয়েছে। এটা অনভিপ্রেত।’

দলটির উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগ চিরাচরিত রাজনৈতিক স্ট্যান্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। সন্তান হারা মাকে যখন সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তখন তারা আমার নেত্রীকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ঢুকতে দেননি। একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এটা তাদের সস্তা রাজনীতি।’

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমাকে ফোন করা হলে তাদেরকে আমি প্রপারওয়েতে যোগাযোগ করতে বলি। আমি কোনো সময় দেইনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর তিনজন সদস্য বলেন, বিএনপির নেতারা জেনেশুনেই ওই সময়ে দাওয়াতপত্র নিয়ে এসেছিলেন। এখন তারা এটা নিয়ে সস্তা রাজনীতি করছেন।

এইউএ/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।