জনগণ এখন আন্দোলন চায় না : নাসিম


প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ০২ মে ২০১৭

রোদ-বৃষ্টির মধ্যে আন্দোলন না করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম। 

তিনি বলেন, খামাখা বক্তব্য না দিয়ে, মাঠ গরম না করে, পানি ঘোলা না করে, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আন্দোলন করে লাভ হবে না। জনগণ এখন আন্দোলন চায় না। জনগণ চায় চাকরি করতে। জনগণ চায় উপার্যজন করতে। জনগণ চায় শান্তি। ওই সময় চলে গেছে। এখন আর হরতাল হয় না। আমরা ডাকলেও দেশে হরতাল হবে না। মানুষ এখন শান্তিতে থাকতে চায়, জ্বালাও পোড়াও চায় না। আন্দোলনের খেলা আর চলবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান উপলক্ষে এ আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

nasim

নিজেকে আন্দোলনের মাস্টার ও চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলনের খেলা আর চলবে না। আমরা (আওয়ামী লীগ) যদি ভবিষ্যতে আন্দোলন করতে চাই, পারব না। আমি তো আন্দোলনের মাস্টার। আমি হচ্ছি আন্দোলনে চ্যাম্পিয়ন। আমি নিজেও ভয় পাই, বিরোধী দলে গেলে আন্দোলনে লাভ হবে না।

মো. নাসিম বলেন, বিএনপিকে বলব, সহায়ক বলে কিছু নেই। সহায়ক হলো বাংলার জনগণ। বাংলার জনগণ যদি সহায়তা করে, আপনি ক্ষমতায় যাবেন। জনগণ সহায়তা না করলে বিরোধী দলে থাকবেন। এটিই নিয়ম। জনগণের ওপর আস্থা রাখেন। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সেই ক্ষমতায় যাবে। জনগণ যদি ভোট না দেয় আমরা বিরোধী দলে চলে যাব।

তিনি আরও বলেন, জনগণ পাঁচ বছর পর ভোট দেবে, সেখানে যে জেতার সেই জিতবে। সে জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলতে চাই রোদের মধ্যে কষ্ট করবেন না, বৃষ্টিতে ভিজবেন না দয়া করে। খামাখা কষ্ট করেন কেন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। ইলেকশন হবে। খেলা হবে মাঠে। দেখব কে জেতে। ২০১৮ সালে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা। আর ২০১৯ সালে হবে বাংলাদেশে নির্বাচনী খেলা। দেখব কে জেতে, কে হারে।

nasim

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতবে এমন ইঙ্গিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরাই ইনশাআল্লাহ জিতব। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছি, জঙ্গি দমন করেছি, গ্রামগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছি। তাহলে আমরাই তো জিতব, আপনারা জিততে পারবেন না ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। এর কোনো বিকল্প হবে না। সংবিধানে লেখা আছে এটা। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কার নেই।

বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ মহাসচিব এহতেশামুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ইকবাল আর্সলান, সহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ।

এমএএস/জেডএ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।