সময়মতো মুখ খুলব


প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৭

‘কি কারণে নৌকার পরাজয়, তা সবই এখন পরিষ্কার। কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে মানুষের কাছে ভোট চাইতে এসেছিলেন। তারা সবই ভালো জানেন। স্থানীয় রাজনীতির হালচাল খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করে গেছেন তারা। কি কারণে পরাজয়, সময়মতো মুখ খুলব।’বলছিলেন, সদ্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা।

তিনি বলেন, এখানকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-কোন্দল সবার কাছেই জানা। দলের হয়ে আমি সবার সহযোগিতা চেয়েছি। সবার দ্বারে গিয়েছি। সবার সহযোগিতা পেলে ফলাফল এমন হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের কাছে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সীমা।

জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ একটি নগরের ভোটের ফলাফল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। হিসেব কষছে নানাভাবেই। দাবার চাল নানা দিকে ছুড়েও হিসেব মিলছে না। ঘুরে ফিরেই ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’। জনগণ নয়, নৌকা হেরেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির কাছেই-এমনটিই মনে করছেন অনেকে।

দশ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে নৌকা হেরেছে ধানের শীষের কাছে। আর বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর বেশি ভোটের অধিকাংশই এসেছে ক্ষমতাসীন দলের দুই এমপি আ ক ম বাহারউদ্দিন ও পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামালের এলাকা থেকে। ভোটে আওয়ামী লীগের এই দুই প্রভাশালীর ভূমিকা নিয়েই এখন নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল খানের সঙ্গে সাংসদ আ ক ম বাহারউদ্দিন ও লোটাস কামালের দ্বন্দ্বের বলি হলেন না তো সীমা?

প্রশ্ন রাখা হয়, সীমার কাছেও। বলেন, ‘বাবা (আফজাল খান) এলাকার মাটি ও মানুষের রাজনীতি করেন। বাবার ধমনিতে আওয়ামী লীগের আদর্শের রক্ত প্রবাহিত হয়। আমরাও বাবার মতো আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে গিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত হতেই পারে। তাই বলে, সেই দ্বন্দ্ব দলের ওপরে ঠাঁই পেতে পারে না। আমি তো ক্ষুদ্র। হারল তো দল-ই।’

কোন্দল মেটাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা যথেষ্ট ছিল কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘ এখানে ভোট নিয়ে কি হয়েছে, কার কি ভূমিকা ছিল- তার সবই দেখে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা কি চেষ্টা করেছেন, তাও সবাই জানেন।’স্থানীয় নেতাদের ভূমিকার বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে কিনা- বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘বাড়িতে লোকজন। আমি ভেঙে পড়িনি। দল যা চাইবে, তাই করব। নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টিও দলের ওপরই নির্ভর করছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, ‘সকল ভোটারকেই সম্মান করছি। যাকে পছন্দ হয়েছে, তারা তাকেই ভোট দিয়েছে। ভোটের ফলাফল থেকে নিজের দুর্বলতাগুলোও যাচাই করার সুযোগ মিলেছে।

এএসএস/এমআরএম/ওআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।