‘জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরক্ষা চুক্তিকে ভিন্নখাতে নেয়ার কৌশল’


প্রকাশিত: ০৬:২৯ এএম, ২১ মার্চ ২০১৭

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের প্রাক্কালে প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতিবাদে সারাদেশ যখন ফুঁসে উঠেছে, তখনই দেশব্যাপী রক্তাক্ত জঙ্গি তৎপরতা প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে দেখছে জনগণ।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জঙ্গিবাদ নিয়ে দেশের মানুষকে গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনসহ শীর্ষ নেতারা বারবার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেও আওয়ামী লীগ তা বারবার প্রত্যাখান করেছে। সুতরাং জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে, জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করে সরকারই ফায়দা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আসন্ন ভারত সফর নিয়ে বলেছেন, আমরা কেবিনেটে বসি। আমরাএ তো জানি না কি চুক্তি হবে। বিএনপি জানলো কিভাবে কি চুক্তি হবে। কোনো চুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রী করে তাহলে জনগণ জানতে পারবে। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি হবে না।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে সরকারের একেক মন্ত্রী একেক কথা বলছেন। জনগণ কার কথা বিশ্বাস করবে। জনগণকে অন্ধকারে রেখে স্বার্থবিরোধী চুক্তি করছেন। চুক্তি গোপন করতে আবার মন্ত্রীরা অসত্য কথা বলছেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকাই যেন এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি। বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সৈন্য বরদাস্ত করা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজাজুল বারী হেলাল, সহ সাংগগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।

এমএম/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।