সিটি নির্বাচন: ইসির ৪ দিনের বিশেষ নিরাপত্তা
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চারদিনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট গ্রহণের দুই দিন আগ থেকে পরের দিন পর্যন্ত তিন সিটিতে বিশেষ এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ সময় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। ওই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬৫ হাজার সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আইনশৃঙ্খলা বৈঠকের এসব বিষয় উত্থাপন করা হচ্ছে। তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভোট গ্রহণের দুই দিন আগ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোট গ্রহণের পরদিন পর্যন্ত টানা চারদিন তারা মাঠে থাকবেন। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সচিব বলেন, এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তখন সবাই জানতে পারবেন।
ইসির নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য ও প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে। তবে চারদিন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি ইসি চূড়ান্ত করেছে। তারা আরও জানান, নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল। কমিশন শুধু মনিটরিং করবে, যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। নিরাপত্তা কৌশল নির্ধারণী আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
এআরএস/এমএস