স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে : খালিদ মাহমুদ


প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৭

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বগাঁথা ভূমিকা পালনকারীদের কেউ কেউ পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। তাদের পরবর্তী ভূমিকা সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জাসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও পরবর্তী জীবনে তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। এদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই নেতৃত্বের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর বাহিনী যে গণহত্যা সংঘঠিত করেছিল তাদের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দুর্ভাগ্য ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকেও হত্যা করল। সেটাও ছিল একটা গণহত্যা। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সৈনিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছিলেন।
 
জাসদের সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ ছাড়া সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সেক্টর্স কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/আরএস/ওআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।