খালেদার ৩ মামলা: শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায়


প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার কার্যক্রমের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা পৃথক চারটি আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় এসেছে।

বুধবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের কার্যতালিকায় ৮২ থেকে ৮৫ নম্বর সিরিয়ালে শুনানির জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি সংক্রান্ত এই তিন মামলার আবেদন রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে আবেদনগুলো শুনানির জন্য বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে একটি ডিভিশন বেঞ্চে ছিল। এর মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার আবেদনটি ছিল রায়ের পর্যায়ে। রায় হওয়ার কথা ছিল গত রোববার। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত পরিবর্তনের জন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন পেশ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার চারটি আবেদন ছিল। আবেদনগুলো শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত এ তিন মামলা দায়ের করা হয়। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম আটকে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নেয় দুদক।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই সরকারের ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করা হয়।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা হয় রুল।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করা হয় ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর। তেঁজগাও থানার এ মামলায় খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে দুদক। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে এবং রুল জারি করে আদালত। এছাড়াও দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাইকোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

একে/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।