আজ থেকে শুরু নির্বাচনী প্রচারণা
আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের দিন নির্ধারিত থাকলেও আচরণ বিধিমালা-২০১০ অনুসারে তিনদিন আগ থেকেই প্রচারণার চালানো সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে তিন সিটিতে জমজমাট হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ। এ নির্বাচনে সব মিলিয়ে ২০ দিন প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চলাতে পারবেন প্রার্থীরা। ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ২১ দিন আগে প্রচারণা শুরু হয়ে ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চালানোর বিধান রয়েছে।
তবে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে প্রার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, কেউ আচরণবিধি লংঘন করলে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিবিশেষকে ছাড় দেয়া হবে না। ইসির কাছে সব প্রার্থী সমান।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, প্রচারণার সুযোগে প্রার্থীরা আচরণবিধি লংঘন করছেন কিনা- তা দেখতে তিন সিটিতেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের বিধিনিষেধ মেনে প্রচারণা চালাতে হবে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
এতে বলা হয়েছে, প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনো প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একই সঙ্গে পথসভার জন্য একটি ও প্রচারণার জন্য একটির অধিক মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া কোনো প্রকার মিছিল, যানবাহন মিছিল বা মশাল মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের উদ্দেশে পথসভা বা ঘরোয়া সভা করা গেলেও জনসভা বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। জনগণের চলাচলের অসুবিধা হয় এমন কোনো সড়কে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো ব্যক্তি পথসভা করতে পারবেন না বা একই উদ্দেশ্যে মঞ্চ তৈরি, বিলবোর্ড স্থাপন, তোরণ, ঘের নির্মাণ বা ক্যাম্প স্থাপন করা বা কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না।
আবার প্রতিপক্ষের প্রচারণায় কোনো বাধা সৃষ্টি, উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃংখল আরচণ, ব্যক্তিগত চরিত্র হরণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বক্তব্য দেয়া যাবে না।
প্রচারণায় পোস্টার বিষয়ে বলা হয়েছে, সাদা-কালো রঙের পোস্টারের ছবি পোট্রেট হতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অনুষ্ঠান বা মিছিলে নেতৃত্ব দান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমায় ছবি ছাপানো যাবে না। পোস্টারে অবশ্যই প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও তারিখ থাকতে হবে। প্রচারণার সময় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার, রাজনৈতিক দলের নাম বা ছবি কোনো প্রকার ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যদিকে কারো জমি, ভবন বা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, শান্তি নষ্ট বা সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
এআরএস/পিআর