পাকিস্তানের বিকৃত ইতিহাসের ইন্ধনদাতা খালেদা


প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানি লেখক জুনায়েদ আহমেদ রচিত বইয়ের বিকৃত ইতিহাসের ইন্ধনদাতা বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যে কথাটা পাকিস্তানিরা বলে, সে কথা বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি (খালেদা) বলেন। ফলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা জুনায়েদ আহমেদ নামের একজনকে দিয়ে একটি বই লিখিয়েছেন। বইটিতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, পাকিস্তানকে পরাজিত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছেন তা অস্বীকার করে উল্লেখ করা হয়েছে নারী ধর্ষণ ও মানুষ হত্যা নাকি মিত্র বাহিনী করেছে। এই বিকৃত ইতিহাসের ইন্ধনদাতা খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, তা আজ সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বীকৃত। কিন্তু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

শেখ হাসিনাকে দৃঢ়চিত্তের নেত্রী আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এ দেশের দৃঢ়চিত্তের নেত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছেন। যখন ড. ইউনূসের তৎপরতায় হিলারির মাধ্যমে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে, তখন শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ করে চলছেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করে এগিয়ে চলেছে। তার (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তাকে কেউ রূখে দিতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী কোনো ব্যক্তি দেয়নি। এটা বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা ছিল। বাংলাদেশের রাখাল রাজা, বাংলাদেশের মুকুটহীন সম্রাট ইত্যাদি অনেক বিশেষণ তাকে দেয়া যায়। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কেউ কোনো উপাধী দেয় নাই।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, মহাত্মা গান্ধী উপাধী পান কবি রবীন্দ্রনাথের ‘মহাত্মা কবিতা’ লেখার মাধ্যমে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে তার সহকর্মীরা ‘দেশবন্ধ’ বলে ডাকতো। এভাবেই সুভাষ বসুকে মানুষ ডাকতো। লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে জন মানুষের পক্ষ থেকে এই উপাধী (বঙ্গবন্ধু) আমি দিয়েছিলাম। লক্ষ লক্ষ মানুষ হাত তুলে, স্লোগান দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধীকে সম্মতি দিয়েছিল।

এ সময় আগামী বছর থেকে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার দৃঢ় প্রত্যায় ব্যক্ত করেন তোফায়েল আহমেদ।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডুর সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।