পদ্মায় দুর্নীতির অভিযোগকারীদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ
পদ্মাসেতু প্রকল্পে যারা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ‘অপপ্রচার’ চালিয়েছিলেন জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। তাই এই মামলার তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। শনিবার দেশের গণমাধ্যমগুলোতে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, কানাডিয়ান আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হলো- দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা কল্পিত ও বানোয়াট। ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অপচেষ্টা হয়েছিল। এই অপপ্রচারের ফলে বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থার অর্থায়ন যাদের কারণে বাতিল হয়েছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, গরীবের রক্তচোষা একজন মহৎ ব্যক্তির জিজ্ঞাসা চরিতার্থ করতে যারা দেশের বিরুদ্ধে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন নিয়ে কল্পকাহিনী রচনা করেছেন এখন তাদের মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সরকার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা পদ্মাসেতুর অর্থায়ন নিয়ে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন নিয়ে দুর্নীতির নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। যারা দেশে অগণতান্ত্রিক সরকার আনতে চায় তারাই এ অপপ্রচার চালিয়েছিল, এটা আবারও প্রমাণ হলো।
দলটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র ছিল। পদ্মাসেতু যেন না হয় সে জন্যইএ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পদ্মায় কোন দুর্নীতি হয়নি, সে কথা আজ প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের উচিত এ ধরনের কোনো অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে বক্তব্য দেয়া।
এইউএ/এনএফ/জেআইএম