ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা থানাধীন কাকরাইল মৎস্য ভবন মোড়ে জড়ো হওয়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মৎস্য ভবন মোড়ে ব্যারিকেড দিলে পুলিশের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক দাবি করছেন, মৎস্য ভবন এলাকা থেকে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট কথিত দুর্নীতির মামলায় বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আজ উপস্থিত হওয়ার কথা। তিনি মৎস্য ভবন মোড় হয়ে আদালতে যাবেন ভেবে সকাল ১১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেয় দলীয় ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের অভিযোগ- বেলা ১১টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে ছাত্রদলের অবস্থানের উপর পুলিশ ও শ্রমিক লীগ হামলা চালায়। এতে প্রায় ৩০ ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাবিব গুরুতর আহত হন। এসময় পুলিশ পাঁচ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এরপরই পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে নেতা-কর্মীরা মৎস্যভবন মোড়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছুড়ে। এ সময় বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
তবে এ ব্যাপারে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদারের দাবি, সচল রাস্তা অচল করে দিয়েছিল বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। রাস্তা থেকে অবস্থান সরিয়ে নেয়ার কথা বললে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেইউ/জেডএ/আরআইপি