সিটি নির্বাচন বিএনপির জন্য ‘এক্সিট পয়েন্ট’ : বাণিজ্যমন্ত্রী
বিএনপির সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন ‘এক্সিট পয়েন্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। রোববার সচিবালয়ে ভিয়েতনামের বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার হোয়াং কোক ভুয়াংয়ের সাথে বৈঠকশেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, `বিএনপি নাশকতা, সন্ত্রাস এবং জঙ্গি তৎপরতার মাধ্যমে যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাতে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য তাদের এখন একটি ‘এক্সিট পয়েন্ট’ দরকার। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’ বিএনপি এই সুযোগ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, আন্দোলনের নামে নাশকতা-জঙ্গিবাদের যে পথ বিএনপি গ্রহণ করেছে, মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন- বিএনপিকে এক্সিট পয়েন্ট দেবেন না? আন্দোলন-নাশকতা থেকে বেরিয়ে এসে সিটি করেপারেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়াই বিএনপির জন্য এক্সিট পয়েন্ট। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আড়াই মাস পর তারা ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেলো।
সন্ত্রাস ও নাশকতাকারীদের সাথে সংলাপ হতে পারে না-এমনটা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিক। যেসব কর্মকাণ্ড করছে, তা প্রত্যাহার করে নিক।
কেবলমাত্র সিটি নির্বাচন নয়, ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে সব নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে, তা কোন বিশ্বাস থেকে বলছেন-এই প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এছাড়া তাদের আর উপায় নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি যে শিক্ষা পেয়েছে, সেই উপলব্ধি থেকে তারা বর্তমান সরকারের মেয়াদে সব নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে সরকার ইসিকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।
ভিয়েতনামের ভাইস-মিনিস্টারের সাথে বৈঠকের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভিয়েতনাম। সে দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি এখানে কৃষিজাত শিল্প স্থাপন করতে চায়।
ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে ওষুধসামগ্রী আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
আরএস/পিআর