ভালো কাজও বিতর্কিত করা বিএনপির অভ্যাস : নাসিম


প্রকাশিত: ০৯:৪৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
ফাইলছবি : নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের রায় সবার মেনে নেয়া উচিৎ। সবাই, এমনকি পরাজিত প্রার্থীও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারপরও বিএনপি একের এক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আসলে যে কোনো ভালো অর্জনকে বিতর্কিত করাই বিএনপির অভ্যাস। বাংলাদেশের সব ভালো অর্জনকে তারা বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।   

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

নাসিম বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এটা আবারও প্রমাণ হয়েছে। ১৪ দল মনে করে, নারায়ণগঞ্জের মতো সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারা অব্যহত থাকবে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালেও শেখ হাসিনার অধীনে, পুনর্গঠিত নির্বাচনের কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮ ধারার ক্ষমতাবলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

আশকোনায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে নাসিম বলেন, অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিকোণ নিয়ে, ধৈর্যের সঙ্গে তারা এই অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপের কারণেই দেশ থেকে জঙ্গি উৎখাত হচ্ছে। এটা তার সফলতা। ভবিষ্যতেও যেকোনো মূল্যে সব জঙ্গিকে উৎখাত করা হবে।

বিএনপিকে জামায়াত ছাড়া আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, খালেদা জিয়ার বোধদয় হওয়া উচিৎ। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি কোনো দিন বিজয় অর্জন করতে পারবে না। সেই জন্য বলতে চাই-জামায়াতকে ছাড়ুন, ত্যাগ করুন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে শ্রদ্ধা করতে না পারেন, কিন্তু জামায়াতকে সঙ্গে রেখে জনগণের ঘৃণার পাত্র হবেন না।

এর আগে মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, উপাধ্যক্ষ রেমণ্ড আরেং প্রমুখ।

১৪ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এমএ আউয়াল, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

এইউএ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।