রাষ্ট্রপতির কাছে এলডিপির ১৭ প্রস্তাব
শক্তিশালী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার চেয়ে ১৭ প্রস্তাব দিয়েছেন এলডিপি। বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বসে এলডিপি।
আলোচনা শেষে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে নির্বাচনী বিধিবিধানের সংস্কার ও সংশোধনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব দিয়েছি রাষ্ট্রপতির কাছে।
অলি আহমদ বলেন, ‘আজকে যিনি রাষ্ট্রপতি, তিনি একসময় সংসদ সদস্য ছিলেন, স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তাই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আমরা তাকে অনুরোধ করেছি।’
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব করে এলডিপি বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনই যথেষ্ট নয়। কমিশনকে সর্বাত্মক প্রশাসনিক ও আনুষঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমর্থন-সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এসব সহযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সে জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার প্রয়োজন।
এলডিপির উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব
১. নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখা।
২. সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন।
৩. নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন।
৪. নির্বাচন কমিশনারদের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ, নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, অন্য অফিসে নিয়োগে বিধি-নিষেধ, নির্বাচন
সংক্রান্ত বিষয়জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না থাকা নিশ্চিত করা।
৫. নির্বাচনকালীন প্রতিরক্ষাবাহিনী মোতায়েন ও তাদের পুলিশের ন্যায় ক্ষমতা প্রদান প্রভৃতি।
এর আগে বুধবার ৩টায় অলি আহমদের নেতৃত্বে এলডিপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে যায়। তারা পৌনে এক ঘণ্টা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেন।
প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল করিম আব্বাসী প্রমুখ।
জেএ/বিএ