গুলশান কার্যালয় ঘিরে কৌতুহল কাটছে না


প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৫

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই গ্রেফতার নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। খালেদা জিয়াকে কি গ্রেফতার করা হবে নাকি সরকার চাপে রাখার কৌশল অবলম্বন করবে এটা নিয়েও সর্বত্রই চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ।

সর্বশেষ বুধবার বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার বিশেষ আদালতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেগম জিয়া। তার এরকম সিদ্ধান্তের পর গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরো গভীর হয়ে উঠেছে। ফলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে যেন কৌতুহল বেড়েই চলছে।

এদিকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করায় খালেদা জিয়া আদলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই গুলশান কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের সরব উপস্থিতি। পাশাপাশি সিভিল পোশাকধারী গোয়েন্দাদের তৎপরতাও লক্ষ্য করা গেছে। তবে কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করতে দেখা যায়নি।

এছাড়া উৎসুক জনতার ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে কার্যালয়কে ঘিরে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পথে চলাচলকারী পদচারীও এই প্রতিবেদকের কাছে জানতে চেয়েছেন খালেদা জিয়া কি গ্রেফতার হবেন?

এদিকে আদালতের শুনানির দিন খালেদা পুত্র আরাফাত রহমান কোকের চেহলাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপি। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গুলশান অফিসে সকাল থেকেই চলছে কোরআন তেলাওয়াত। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটেত খালেদা জিয়া কোরান তেলাওয়াতে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।

একদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পরবর্তী দ্বিতীয় শুনানি অন্যদিকে নিজ ছেলের মৃত্যুর ৪০ তম দিন অতিবাহিত হওয়া উপলক্ষে চেহলাম অনুষ্ঠান।  সব মিলিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপট কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়ে কৌতুহল কোনোভাবেই কাটছে না।

এমএম/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।