বার নির্বাচনে জয়ী নীল প্যানেল
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) নিবাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের। বার কার্যালয়ে শুক্রবার রাত আড়াইটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বারের সাবেক সভাপতি এসএম আলতাফ হোসেন এ ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে সভাপতি পদে নীল প্যানেলের এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৪৫৬২টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক পেয়েছেন ৪৩৩২টি ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ৪৬৪৩টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের এ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৪০৫৭টি ভোট। এ ছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের মোশাররফ হোসেন ৪৪৭৩টি ও নীল প্যানেলের আফরোজা বেগম শেলী পেয়েছেন ৪৪৫০টি ভোট।
সহ-সভাপতি পদে নীল প্যানেলে হারুন রশিদ খান ৪৫৭৭টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের তারিক হোসেন পেয়েছেন ৪২৬৩টি ভোট। ট্রেজারার পদে সাদা প্যানেলের মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৪৪৩টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নীল প্যানেলের আবু বক্কর সিদ্দিকী পেয়েছেন ৪৪১২টি ভোট।
সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের হাফিজুর রহমান হাফিজ পেয়েছেন ৪৪২৪টি ভোট ও সাদা প্যানেলের আব্দুস সালাম খান পেয়েছেন ৪২৯৮টি ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ ৪৮১৬টি পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৪০১৩টি ভোট। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের মাজেদুর রহমান মামুন পেয়েছেন ৪৮৯২টি ভোট ও সাদা প্যানেলের আলী আহমেদ পেয়েছেন ৩৯৪৮টি ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের আকলিমা আক্তার আলো ৪৩৬৬টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ পেয়েছেন ৪২৮৫টি ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের শেখ আলাউদ্দিন ৪৬৩৫টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা প্যানেলের আব্দুল হাই মামুন পেয়েছেন ৩৯৩১টি ভোট। এছাড়া ১৫টি সদস্য পদের মধ্যে ১২টি পদে নীল প্যানেল জয়ী হয়।
এ নির্বাচনে মোট তিনটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল এবং দল নিরপেক্ষ সবুজ প্যানেলের ব্যানারে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে।
এবারের নির্বাচনে মোট ১৫ হাজার ৩৭২ ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ৯২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে প্রথম দিনে ৩ হাজার ৯১১ জন এবং দ্বিতীয় দিনে ৫ হাজার ১৮১ জন ভোট দেন। এ নির্বাচনে ২৫টি পদে মোট ৬১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ১০টি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৬ জন এবং ১৫টি সদস্য পদের বিপরীতে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন- এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম হিরন, এ্যাডভোকেট হাজী মো. মোহসীন, এ্যাডভোকেট আহমদ উল্লাহ আমান, এ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, মো. শামসুজ্জামান ও মো. মতিউর রহমান ভূঁইয়া।
এএইচ/এমএস