মাহমুদুর রহমান মান্না ‘আটক’
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা দিকে রাজধানীর বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মান্নাকে আটক করা হয়।
আটকের পর মান্নাকে ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার।
তবে গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) রবিউল আরাফাত জানান, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটকের কোনো খবর তাদের কাছে নেই।
মেহের নিগার মঙ্গলবার ভোর ৫টায় গুলশান-২ এর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী বনানী ই-ব্লকের ১২ নম্বর বাসায় ছিলেন। বাসাটি মান্নার ভাতিজি শাহনামা শারমিনের। ওই বাসা থেকে রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়।
শাহনামা শারমিন রাত সোয়া তিনটার দিকে ফোন করে তাকে একথা জানান। মেহের নিগার সাংবাদিকদের জানান, আটক হওয়ার আগে রাত ১২টার দিকে তার স্বামী মান্নার সঙ্গে কথা হয়।
শাহনামা শারমিন ভোর সাড়ে ৫টায় তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের বাসায় কড়া নাড়েন। এ সময় তার চাচা মান্না ঘুমিয়ে ছিলেন। ডিবি পুলিশ তাকে জানান যে, তারা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে যেতে এসেছেন।
তিনি জানান, এ সময় তার চাচাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে এ খবর জানানো হয়। এ সময় তিনি ঘুম থেকে উঠে ডিবি পুলিশের কাছে পোশাক পরার সময় চান। পোশাক পরা শেষ হলে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে যায়।
রোববার ইউটিউব ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপের অডিও টেপ ফাঁস হয়। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ওই টেপে দুই নেতাকে বিশদ কথা বলতে শোনা যায়।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে আন্দোলন বেগবান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা ঘটানো ও লাশ ফেলার বিষয়ে খোকাকে পরামর্শ দেন মান্না। এই অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ঘটনায় মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল, পল্টন, গুলশানসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অন্তত ৩০টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাধারণ জনগণ।
রাষ্ট্রদ্রোহ, সাধারণ মানুষের জানমালের হুমকি ও দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির অভিযোগ এনে এই জিডি করা হয়।
বিএ/আরআই