সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে ইইউর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইইউ তাদের গণতান্ত্রিক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। ইইউর সদস্যরা সরকার, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন।
ফখরুল বলেন, তাদের এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য সংক্রান্ত। তারপরও তারা বলছে শুধু বাণিজ্য/ট্রেড নিয়ে আলোচনায় ফলপ্রসূ হয় না। যেহেতু ইইউ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের সঙ্গে যারা ব্যবসা করবে তাদের সেখানে যাতে গণতন্ত্রের চর্চা হয়, মৌলিক অধিকার যেন রক্ষা করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন একেবারেই সুষ্ঠু এবং সব দলের মাধ্যমে নির্বাচন হয়। একইভাবে বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা হয়েছে। ইইউ চায় একটি নিরপেক্ষ যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। তারা যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সিএমএম আদালত থেকে জন্মদিন সংক্রান্ত একটি আদেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা (বিএনপি) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। কারণ খালেদা জিয়া বাংলাদেশে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি বাংলাদেশে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। ৯ বছর কাজ করেছেন পরবর্তীতে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অবিশ্বাস্য নির্দেশ দেয়া হবে তা ভাবতেই পারেনি বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রমাণ করেছে বিচারব্যবস্থা সরকারের অধীন ও নিয়ন্ত্রণে। তার ফলশ্রতিতেই আজকে এমন একটা বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়েছে, যা যে কোনো দেশের পক্ষে, সমাজের পক্ষে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে। এতে বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নিয়েও আতঙ্কিত বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এসএইচএস/পিআর