ভাসানীই প্রথম পাকিস্তানের বিরোধিতা করে ছিলেন : ড. মোশাররফ
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ‘মওলানা ভাসানী মৃত্যু বার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পল্টন ময়দানে আবদুল হামিদ খানই ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে প্রথম পাকিস্তানের বিরোধিতা করে ছিলেন। এর মধ্যে দিয়ে তিনিই (ভাসানী) প্রথম মুক্তিযুদ্ধের রূপকার হিসেবে স্বীকৃতি পান। সুতরাং ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি।
‘আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী `আওয়ামী মুসলিম লীগ` প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দেশের গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন ও কাজ করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও একই আর্দশে কাজ করেছেন। ফলে ভাসানীর আর্দশেই বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ ভাসানী ও শহিদ জিয়ার আর্দশের বাইয়ে কাজ করছে। সেই কারণেই ভাসানী ও শহীদ জিয়াকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়।
খন্দকার মোশাররফ অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা `ভাসানীকে` স্মরণ করে না। এমনকি তার মৃত্যুবার্ষিকীও পর্যন্ত পালন করে না। এটা অত্যন্ত দু:খজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও বিরোধী দলের সমাবেশ করার অধিকার নেই। দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় ভাসানী ও শহীদ জিয়ার আর্দশে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমএম/এমএমজেড/পিআর