‘কে হচ্ছেন’ প্রশ্ন আ. লীগ নেতাকর্মীদের


প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৬

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমদিনে দিনব্যাপি চলেছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য। ছিল বিদেশি অতিথি রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি নিজ দলের নেতাদের বক্তব্য। মধ্যাহ্নভোজের পর কথা বলেছেন প্রতিনিধিরাও। ছিল ক্লান্তি দূর করার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও, কিন্তু স্বস্তি আসছে না যেন কিছুতেই। সবার মাঝেই এখন প্রশ্ন ‘কে হচ্ছেন’ আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব ছিল। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পরে ১০টি দেশ থেকে ৫৫ জন রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য দেন। এরপর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি দুই দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। দলের সভানেত্রীর উপদেশে দলকে পরিচালনা করেছি।  এ সময় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো ভাঙন ধরেনি, কোনো স্কিজম (বিভেদ) তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, ব্যক্তি ও দলের চেয়ে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য নিয়ে দলীয় সর্বস্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দলীয় ঐক্য ও সংহতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।

দ্বন্দ্ব-সংঘাত পরিহার করে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দলে অশুভ শক্তির চর, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, অসৎ ও বিতর্কিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

পরে দলীয় সভাপতির বক্তব্যের পর মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি দেয়া হয়। বিরতির পর ৮টি বিভাগ থেকে ৮ জন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দুইজনসহ মোট ১০ জন বক্তব্য দেন। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যের পর দলীয় সভাপতি কাউন্সিলের উদ্বোধনী পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সমাপনীর ঘোষণা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আগামীকাল সম্মেলনের মূল সেশনে আপনারা সবাই আসবেন। এখানে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রস্তাব এসেছে, ঘোষণাপত্র এসেছে। এগুলো আপনাদের ভোটে চূড়ান্ত করা হবে।

নেতা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন কাউন্সিলর সভাপতির নাম প্রস্তাব করবেন বাকিরা সমর্থন জানাবেন। অপর একজন কাউন্সিলর সাধারণ সম্পাদককের নাম প্রস্তাব করবেন বাকিরা সমর্থন জানাবেন।

উদ্বোধনী পর্ব শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-কমিটি এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে সব জায়গায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে একই প্রশ্ন ‘কে হচ্ছেন’ আওয়ামী লীগের আগামী দিনের নেতা।

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিরাজ উদ্দিন বলেন, আজকে নয়, সম্মেলনের মূল আর্কষণ কালকে (রোববার)। আজকে শুনেছি, আর কালকে জানবো আওয়ামী লীগের আগামীদিনের নেতৃত্বে কে আসছেন। সম্মেলনে প্রথমদিন তো সবার মিলন মেলা ঘটে। আর শেষদিন সবার মধ্যে আগ্রহ থাকে কে নেতা হচ্ছেন তা নিয়ে।

মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক নেহার আহমদ বলেন, প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মিলন মেলা ঘটে। তখন খুব আনন্দ লাগে। সব কেন্দ্রীয় নেতাকে একসঙ্গে দেখতে পাই। তবে সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন থাকে মূল আকর্ষণ। কারণ তখন আওয়ামী লীগের আগামীদিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এ নিয়ে সবার মধ্যে একটা উত্তেজনা বিরাজ করে।

এইউএ/বিএ/এএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।