চোখ ধাঁধানো সম্মেলনের প্রথম দিনের অধিবেশনের সমাপ্তি
তাক লাগানো আয়োজন। চোখ ধাঁধানো মঞ্চের নানা দৃশ্যায়ন। মঞ্চ ও মঞ্চের সামনে অতিথিতে একেবারে ঠাসা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরোটাই যেন এক জনসমুদ্র। ছিল অনুগতদের নিয়ে নেতাদের বিশেষ মহড়াও।
দিনভর চলা সম্মেলনের সবই ছিল চোখে পড়ার মতো। রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিনের কার্যক্রম। রোববার সকাল ৯টায় ফের শুরু হচ্ছে সম্মেলন।
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরর শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করে সম্মেলনের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
দলের সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ শেষে বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের উন্নয়ন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দুপুরের খাবারের পর ফের শুরু হয় বক্তব্য প্রদানের পালা। এ সময় দলের ৮ বিভাগের ৮ প্রতিনিধি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের একজন করে প্রতিনিধি বক্তব্য প্রদান করেন। এরপরেই দলীয় সভানেত্রী প্রথম দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
স্মরণকালের এ সম্মেলনের অব্যবস্থাপনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যাপ্ত আসন ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ডেলিগেটদের। পানি ও খাবার পরিবেশনা নিয়েও ছিল নানা বিড়ম্বনা। ঘাটতি ছিল টয়লেট ব্যবস্থারও।
এদিকে সম্মেলনের সাউন্ড সিস্টেমও ছিল প্রথমের দিকে অনেকটাই দুর্বল প্রকৃতির। অডিও বাজানোর সময় বিরক্তকর শব্দও শোনা গেছে সম্মেলন এলাকায়।
তবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তার স্বার্থে সম্মেলন এলাকা থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ক্ষমতাসীন দলের এই সম্মেলনে নিরাপত্তা ছিল অনেকটাই বাড়াবাড়ি রকমের। যা ইতোপূর্বে কোনো আয়োজনে প্রত্যক্ষ করা যায়নি।
এসএসএফ’র নির্দেশনায় প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। নিরাপত্তায় ছিল সেনাবাহিনী এবং সোয়াতের সদস্যরাও। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন।
আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হবে সকাল ৯টায়। শেষদিনের কাউন্সিল অধিবেশনের কার্যক্রম চলবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। কাউন্সিলে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বক্তব্য শেষে দলের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র সংশোধনী অনুমোদনের পর নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের নতুন কমিটি নির্বাচন করা হবে।
সারাদেশ থেকে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক ডেলিগেট সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তবে সব মিলিয়ে সম্মেলনে প্রায় অর্ধ লাখ উপস্থিতি রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এএসএস/এএম