ভারতবর্ষের সভ্যতার মতোই পুরোনো চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক


প্রকাশিত: ০৮:২১ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৬

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘চীন ও ভারতবর্ষের সভ্যতার মতোই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর হেঁটে চীন পৌঁছেছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য। দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত আছে।’

চীন বিপ্লবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চীন ও বাংলাদেশের মানস-চরিত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কৃষ্টি, কালচার, আধুনিকতা ও ধর্মীয় চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে ভাবেন, চর্চা করেন; চীনেও তাই। তাদের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেলবন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি আত্মিক।’

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চীনা রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের মাটিতে শিগগিরিই পা রাখবেন। এটা দুই দেশের জন্যই আলোচিত ঘটনা। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে।’

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে উদ্দেশ করে রশিকতার ছলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এক সময় দাদা একা চীনা মানুষ ছিলেন, এখন আমরা অনেকেই আছি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকার চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকবো। আমরা চাই দুই দেশের সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।’

ইয়াং জাও হুই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরো সদস্য লুৎফর রহমান।

এইউএ/এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।