বিএনপি জঙ্গিবাদের বড় ভাই


প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

বিএনপি জঙ্গিবাদের বড় ভাই, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য দশ ট্রাক অস্ত্র তারাই এদেশে নিয়ে এসেছিল।আজ দেশে এই জঙ্গিবাদের উত্থান, বাংলা ভাই, মুফতি হান্নান থেকে শুরু করে সব ধরনের সন্ত্রাসীদের, জঙ্গি বাহিনীদের তারাই সৃষ্টি করেছে।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। তারা নিজেদের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীকালে এই চক্রই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। ২১শে আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায় চক্রটি। আর সে চক্রটি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।

তিনি বলেন, জঙ্গিদের মূল টার্গেট শেখ হাসিনা। বিএনপি জামায়াতের মূল টার্গেট শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তারা ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট তাকে (শেখ হাসিনা) হত্যা করতে পারেনি। এখনো চেষ্টা করছে। তিনি (শেখ হাসিনা) মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনা রক্ষা পেলে বাংলাদেশ বাঁচবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, পৃথিবীর জঘন্যতম সন্ত্রাসের মধ্যদিয়ে বিএনপির জন্ম। খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। তিনি অদ্বিতীয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবেই।

একটি গোষ্ঠি দেশকে অস্থিতিশীল করে বিশ্বের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। যারা রাস্তায় মানুষ হত্যা করেছিল, মানুষ পুড়িয়েছিল তারাই এসব কাজ করছে। কিন্তু তাদের এ আশা কখনো পূরণ হবে না।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠানিক শাখার আহ্বায়ক মো. আব্দুর রায়হানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা প্রমুখ।

এইউএ/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।