ব্লেম গেম খেলছে ক্ষমতাসীনরা : মোশাররফ


প্রকাশিত: ০৯:০৬ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৬
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগও মনে মনে বিশ্বাস করে শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী সাইয়েদুল আলম বাবলু।

‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবি` শীর্ষক এ সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আর বেশি সময় নেই। আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। একথা বলে তারা প্রমাণ করেছেন, আওয়ামী লীগও মনে মনে বিশ্বাস করে শহীদ জিয়াই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সুতরাং আওয়ামী লীগের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটবে যে ঘটনায় তাদের নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে আনবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে দোকানে দোকানে আলোচনা ও রাস্তায় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। আর এই প্রতিবাদ এক সময় গণআন্দোলনে রূপ নেবে। এই অত্যাচারী, ফ্যাসিস্ট এবং অনির্বাচিত সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের ‘সরকার’ পতন নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে বিরোধী দলকে নির্যাতিত হতেই হয়। আর তাই দেশের বিরোধী মত, জনগণ ও বিরোধী দল আজ কারাগারে বন্দি রয়েছে। কিন্তু এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

জঙ্গিবাদ দমন না করে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সঙ্গে ব্লেইম গেম খেলছে বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে মোশাররফ বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আমেরিকায় যাওয়ার জন্য টিকিট করে রেখেছেন। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই তিনি যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

এমএম/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।