নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি করবে ১৪ দল
অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে সারাদেশে পাড়া-মহল্লায় ‘নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’ করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি জনগণকে সকল নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে উদ্বুদ্ধ করবে। কমিটির সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের এক বিন্দু ছাড় দেওয়া যাবে না। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেবার কোন প্রশ্নই আসে না। যারা মিথ্যাচার করে তাদেরও কোন ছাড় দেওয়া যাবে না।
অবরোধের নামে চোরাগোপ্তা হামলার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়ী করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চোরাগোপ্তা হামলার জন্য উনি (খালেদা জিয়া) দায়ী। তার নির্দেশেই এই হামলা চালাচ্ছে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা। এই সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তিনি জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে।
তিনি বলেন, অবরুদ্ধ থাকার নাটক করে বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছেন। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের দিয়ে চোড়া গোপ্তা হামলা করাচ্ছেন। এটা কোন আন্দোলন হল? এটা একটা কাপুরুষোচিত্ত আন্দোলন। আসলে বেগম জিয়া জামায়াতের নেতাদের রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপিকে বলব, সন্ত্রাস বাদ দেন। মিথ্যাচারের ভাঙা ক্যাসেট বাজানো বাদ দেন। আমরা প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে বলব। সন্ত্রাসীদের আরও কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাভাবিক রয়েছে, কিন্তু মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। খালেদার সৈনিকরা তো মাঠে নেই। কিন্তু তার সন্ত্রাসীরা মাঠে রয়েছে। এ জন্যই তারা চোরাগোপ্তা হামলা করছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দীন খান বাদল এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএস