সন্ত্রাস-নৈরাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা দায়ী নয় : ইসলামী ঐক্যজোট
হলি আর্টিসান রেস্তোঁরা ও শোলাকিয়ায় রোমহর্ষক সন্ত্রাসী হামলায় প্রমাণ হয়েছে, দেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র চিহ্নিত করতে এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও মাদ্রাসা শিক্ষা দায়ী নয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এতোদিন ইসলামে সন্ত্রাসবাদ আবিষ্কার, ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাসী এবং মাদ্রাসাকে সন্ত্রাসী প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে সমাজে ইসলামপন্থীদের হেয়প্রতিপন্ন করার এবং তাদের জনগণের শত্রুভাবাপন্ন করে তোলার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছিল। প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনায় সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি অভিযোগ এনে ইসলামপন্থীদের শেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময়ই ছিল। আমরা এই ইস্যুতে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছি। সব ইসলামী দলের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চাই।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৫ জুলাই (শুক্রবার) জুমার খুতবা-পূর্ব বয়ানে জনমনে সন্ত্রাসবিরোধী চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বয়ান এবং দেশের শান্তি ও সুস্থিতির জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে দোয়া করতে ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষ হতে দেশের সকল ইমাম ও খতিবদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এই ইস্যুতে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সন্ত্রাস নির্মূলে পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসলামের মধ্যপন্থা অনুসরণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা জিয়াউল হক মজুমদার, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, সৈয়দ মুহা. এহসান, মুহা. ওবায়দুল হক, ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান প্রমুখ।
এইউএ/এমএমজেড/পিআর