বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষে কটুক্তিকারীদের গণতন্ত্র থাকতে পারে না : নাসিম
যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলে তাদের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলা সংলগ্ন বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ কর্মসূচির উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতাকে নিয়ে কটাক্ষ্য করে তাদের জন্য স্বাধীন দেশে আবার কিসের গণতন্ত্র। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, কষ্ট দেয় তাদের জন্য গণতন্ত্র থাকতে পারে না।
৫ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম জিয়ার পাশে কেউ ছিলনা। তার দলের একজন নেতাও ছিল না। এজন্য তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব সরকারের। তার কোনো ক্ষতি হলে তার দায় আমাদের ওপরই এসে পড়বে। তাই তাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য।
বেগম জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার ডাকে কেন নেতারা নামে না। আপনি কেন একা লড়াই করছেন। একজন নেতা যদি ভুল করে তার জন্য সেই দলকে বছরের পর বছর খেসারত দিতে হয়। আন্দোলন করতে চাইলে পুলিশ, ব্যারিকেড, কাঁটাতার, এগুলো তো থাকবেই। ফুলের পাপড়ি তো সেখানে বিছানো থাকবে না।
দেশের কোথাও অবরোধ হচ্ছে না জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কোথায় খালেদা জিয়ার অবরোধ? দেশ আজ মুক্ত হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া আপনী ভুল করেছেন। ভুলের খেসারত জনগণ কেন দেবে?
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মূখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়া আপনার সব শক্তি শেষ হয়ে গেছে। এখন আপনি যা করছেন তা শুধুই আর্তনাদ। আপনাকে দেখে আমার কষ্ট হয়। একজন সেনাপ্রধান তখনই মাঠে নামে, যখন তার সকলকর্মীরা মারা যায়। আপনারাও তাই হয়েছে । কারণ আপনার পাশে একজন নেতাকেও দেখা যায় না।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতির জনককে নিয়ে কটাক্ষ কখনোই সহ্য করা যায় না। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে জাতির জনককে নিয়ে এভাবে কটাক্ষ হয়। আর লন্ডনে বসে আমাদের দেশের একজন বেয়াদব এ কাজটি করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক জিয়া বক্তব্যের ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ বেগম জিয়া আপনাকে দেশের কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।