রাজধানীর সাত স্থান ভিক্ষুকমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সাতটি স্থান ভিক্ষুকমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে সরকার। স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা, হোটেল রেডিসন, বেইলী রোড, কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকা।
সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় মন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে অতীতে চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমি ব্যর্থ হতে চাই না। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভিক্ষাবৃত্তি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজটি করতে চাই। এ জন্য ঈদের পর আবারও বসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি আমার চূড়ান্ত করব।
মহসিন আলী আরও বলেন, নাগরিক হিসেবে সব অধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। তারপরও কেন লোকজন ভিক্ষা করবে? আমরা সরকারে আছি কেন? আমরা কি ঘাস কাটব?
২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি এক সভায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ভিক্ষুকমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবারের সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি স্পর্শকাতর। এ জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য সার-সংক্ষেপ পাঠাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে এ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি ঢাকার ভিক্ষুকপ্রবণ পয়েন্টগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর তাগিদ দেন। এ বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলেও জানান তিনি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাছিমা বেগম বলেন, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আমরা ভিক্ষা করতে দেব না। এ সব স্থানে ভিক্ষা করতে বসলেই গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, ছয় বিভাগে আমাদের ভবঘুরে কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৯০০ আসন আছে। এ সব কেন্দ্রে ভিক্ষুকদের জায়গা দিতেও আমাদের সমস্যা হবে না।
সভায় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশন, মানবাধিকার কমিশন, এনজিও প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।