সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের খবরে মুখ খুললেন জয়


প্রকাশিত: ০৪:৫১ এএম, ২৯ মে ২০১৬
ফাইল ছবি

ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পাটির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠকের খবর সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জয়। তিনি সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের কথা অস্বীকার করে বিএনপিকে বোকার দল বলে অভিহত করেন। রোববার সকালে ৬টার দিকে জয় তার ফেসুবক স্ট্যাটাসে এ ব্যাখ্যা দেন।

জয় স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ ভুল করে। আমি চাই বিএনপি এবং সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাত পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? অন্য কার অফিসে?

প্রথম বোকামিপূর্ণ ভুল তারা করেছে কারণ, আমি গত ৩-৪ বছরে ওয়াশিংটনে কোন অনুষ্ঠান বা কারও অফিসে যাইনি। যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে এবং একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে, কোথায় তার সাথে আমার সাক্ষাত হতে পারে?

আমার সাথে সাফাদির কোনোসময়ই সাক্ষাত হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্যকোনো জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে। সে যে বিএনপির জন্য মিথ্যা বলতে সম্মত হয়েছে সেটা দিয়ে এও প্রমাণ হচ্ছে, সে বিএনপির সাথে ষড়যন্ত্রে জড়িত। নাহলে আর কী কারণে সে বিএনপির হয়ে মিথ্যা বলবে?

joy

এটাও খুবই লজ্জাজনক যে বিবিসি বাংলা আসলেই সেই ভুয়া ইন্টারভিউটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই প্রচার করেছে। এ ঘটনা সংবাদের উৎস হিসেবে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

প্রসঙ্গ, সম্প্রতি এন সাফাদির সঙ্গে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে গত ১৫ মে তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হলে পরদিন সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ওই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে পুলিশ।

পরদিন শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাফাদি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে গত বছর তার সাক্ষাৎ হয়।

এইচএস/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।