রিজভী
সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে

সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এমন মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা ৯০ এর আন্দোলনেও দেখেছি, আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও আমরা দেখেছি, এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।
- আরও পড়ুন
- আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী
- প্রশাসনের ঢিলেঢালার কারণে দুষ্কৃতকারীরা আসকারা পাচ্ছে: রিজভী
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ও শক্তিশালী করার জন্য সামনে আরও যে কাজ আছে অর্থাৎ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন এবং প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যে গণতান্ত্রিক সমাজ সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এখন লড়াই করতে হবে।
রিজভী বলেন, আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আমাদের আলোচনা, কথা-বার্তায় এমন সহনশীলতা দেখাতে হবে যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, আমাদের কারণে সেইসব প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, ৭১ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এদেশের জনগণের সঙ্গে ছিল এবং সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি দল, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকদের প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।
কেএইচ/এএমএ/জিকেএস