‘যুবদল পরিচয়ে কেউ দখল-বাণিজ্য করলে আটক করুন’

যুবদল পরিচয়ে কোথাও দখল-বাণিজ্য করলে অভিযুক্তকে আটক করে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, গুলিস্তানসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ফুটপাত দখল করে এক শ্রেণির দুষ্কৃতকারী জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত করার পাশাপাশি ফুটপাতকেন্দ্রিক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামরত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন হিসেবে জাতীয়তাবাদী যুবদল এসব অবৈধ দখল-বাণিজ্যকেন্দ্রিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
- যুবদল নেতা বললেন ‘বাঁচতে চাইলে দ্রুত এক লাখ টাকা বিকাশ করো’
- পুলিশকে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে যুবদল কর্মী আটক
জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এ ধরনের কাজে যুবদলের কারও ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্রই অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে, এ ধরনের অবৈধ দখল বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় দুষ্কৃতকারী নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যুবদলের পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ইমেজ ক্ষুণ্ন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল আরও জানায়, দলীয় পরিচয় ব্যবহারকারী এ ধরনের অপরাধীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক বন্ধুদের এবং এ জাতীয় অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
এতে বলা হয়, যুবদলের পরিচয় ব্যবহার করে কোথাও দখল বাণিজ্যের কোনো ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়া মাত্রই অপরাধীকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আটক করে যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে (দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, মোবাইল: ০১৮১৯২৯৫১০৬ এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া, মোবাইল: ০১৭১২০৬১১৯৮) জানানোর জন্য সচেতন জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
কেএইচ/ইএ/এমএস