২০ বছর আগে বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের ফুটবল তারকারা এখন যে কাজ করছেন
আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগে জুলাইয়ের এমনই এক দিনে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং ব্রাজিল। ঘরের মাটিতে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেবারই প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। জিদানদের সেই রত্নখচিত দল তিন গোলে হারায় ব্রাজিলকে। এবার দেখে নেওয়া যাক সেই দলের তারকারা আজ কোথায়।
-
জিনেদিন জিদান : ফ্রান্সের বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান কারিগর। ফাইনালেও দুটি গোল করেন এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে কিছু দিন আগে পর্যন্তও রিয়ালের কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন জিদান।
-
দিদিয়ের দেশম : বিশ্বজয়ী ফ্রান্সের অধিনায়ক ছিলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ২০১২ সালে দায়িত্ব নেন ফ্রান্সের জাতীয় দলের।
-
লিলিয়া থুরাম : সেবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। দাবিদার ছিলেন সোনার বলেরও। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেন। দেশের হয়ে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে অবসর নেওয়া থুরাম বর্তমানে ফুটবলে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজ করছেন।
-
থিয়েরি অরি : বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা। টুর্নামেন্টে তিন গোল করা অরি আর্সেনালের হয়ে একাধিক মৌসুম খেলে অবসর নিয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসাবে বহুদিন কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বেলজিয়ামের সহকারী কোচ।
-
এমানুয়েল পেতিত : আর্সেনাল, চেলসি, বার্সায় খেলা এই মিডফিল্ডার বিশ্বকাপে দুটি গোল করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ফাইনালের একটি গোল। বর্তমানে তিনি একটি স্পোর্টস ওয়েবসাইট এবং গৃহহীনদের বিশ্বকাপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
-
ফাবিয়েন বার্থেজ : বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন বার্থেজ। ম্যান ইউয়ের হয়ে ২০০৭ পর্যন্ত খেলার পর মোটরস্পোর্টসে কেরিয়ার তৈরিতে মনোযাগ দিয়েছেন বার্থেজ।
-
মার্সেল দেসাই : এসি মিলানের এই ডিফেন্ডার ফিফার অল স্টার টিমে জায়গা পেয়েছিলেন। ২০০৬ পর্যন্ত চেলসির হয়ে খেলে অবসর নেন। দেসাই বর্তমানে একজন ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
-
ডেভিড ত্রেজেগুয়ে : বিশ্বকাপে ফর্মে থাকলেও তেমন ভাবে গোল পাননি। তবে দুই বছর পর ইউরো কাপে তার গোলেই ট্রফি জেতে ফ্রান্স। জুভেন্টাসের হয়ে ১০ বছর খেলে অবসর নিয়ে বর্তমানে ওই ক্লাবের সঙ্গেই রয়েছেন ত্রেজেগুয়ে।
-
লরা ব্লা : ফ্রান্সের অন্যতম ভরসার ডিফেন্ডার ছিলেন। পর্তুগাল এবং ইতালির বিরুদ্ধে তার গোল দলকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। অবসরের পর বছর দুয়েক জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন। বর্তমানে প্যারিস সঁ জঁয়ের কোচ ব্লা।
-
বি লিজারাজু : বিশ্বজয়ী ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার। ইতালির বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করে খবরে চলে এসেছিলেন। দেশের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলা বায়ার্ন মিউনিখের এই ডিফেন্ডার বর্তমানে এক জন নামজাদা ফুটবল বিশেষজ্ঞ।
-
ক্রিস্টোফে দুগারি : টুর্নামেন্টে ফরাসিদের হয়ে প্রথম গোলটা করেছিলেন। অবসরের পর টিভিতে ফুটবল বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
-
ইয়োরি জোরকয়েফ : মিলানের অন্যতম আক্রমণাত্মক ফুটবলার হিসেবে সব সময় নজর কেড়েছেন। গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের শেষ ম্যাচে গোলটি করেছিলেন। পরবর্তী সময় সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা গিয়েছে তাকে।
-
প্যাট্রিক ভিয়েরা : দলের গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার। পরবর্তী সময় বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে কোচের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি নিসের দায়িত্বে রয়েছেন।