মানব সেবায় অনন্য রোনালদো
ভক্ত দর্শকদের শুধু ভালো খেলাই উপহার দেন না রোনালদো। তিনি মানব সেবায়ও অনন্য ভূমিকা রাখছেন।
-
দুঃস্থদের বন্ধু তিনটে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাম্বাসেডর রোনালদো। সেভ দ্য চিল্ড্রেন, ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে আরও অনেক সংগঠনকে তিনি বিভিন্নভাবে সাহায্যও করে থাকেন। ২০১৪ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নেওয়ার সময় রোনালদো জানান, তিনিও একটা সময় রক্তল্পতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেভ দ্য চিল্ড্রেনকে তিনি বছরে একটা বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণ কখনও প্রকাশ পায় না।
-
বোনাসদান ২০১৩ সালে তিনি উয়েফা টিম অফ দ্য ইয়ার হয়ে ৮৯ হাজার ইউরো বোনাস হিসাবে পেয়েছিলেন। পুরো টাকাটাই তিনি রেড ক্রস-কে দান করে দিয়েছিলেন। এক বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে সাড়ে চার লাখ ইউরো বোনাস পেয়েছিলেন রিয়াল থেকে। কিন্তু সেবারও তিনি পুরো অর্থ তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অনুদান করার সিদ্ধান্ত নেন।
-
ট্যাটুহীন রোনালদো ঘন ঘন রক্তদান করেন। আর সে জন্য তার শরীরে কোথাও তিনি ট্যাটু করান না। কারণ, ট্যাটু করালে তিনি হয়তো তাৎক্ষণিক কারও রক্তের প্রয়োজন হলে দিতে পারবেন না। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, রোনাল্ডো রক্তের সঙ্গে সঙ্গে অস্থি মজ্জাও দন করেন। একবার সিআরসেভেন বলেছিলেন, ‘রক্ত দেওয়ার মতোই সহজ হল অস্থি মজ্জা দান। এতে তেমন ব্যথা লাগে না। আপনারা এগিয়ে এলে কারও জীবন বাঁচাতে পারেন।’
-
অনেক বড় মন তার। ২০০৭ সালে রোনালদোর মা ডলোরেস অ্যাভেইরোর স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে। সে সময় পর্তুগালের একটি ক্যানসার সেন্টার তার মায়ের পাশে দাঁড়ায় ও ডলোরেসকে সারিয়ে তোলে। রোনালদো সেই ক্যানসার সেন্টারকে ধন্যবাদ জানান। এবং ১২ লাখ ইউরো অনুদান দেন।
-
ভক্তরা প্রায়ই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে ম্যাচের মাঝে মাঠে ঢুকে পড়েন সমর্থকা। রোনালদো কখনও এই ব্যাপারে ভক্তদের উপর রাগ করেন না। বরং ভক্তদের আবদার মেটান। বহুবার ভক্তদের নিরপত্তারক্ষীদে হাত থেকেও বাঁচান তিনি। অনেকেই বলেন, স্টেডিয়ামে ঢোকার পর ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসেন তিনি। কখনও জার্সি ছুঁড়ে দেন, কখনও সই, সেলফির বায়না মেটান।