শাহরুখ যে ১০ জনকে নিলামে কিনতে পারেন
আগামী শনিবার ও রবিবার আইপিএলের নিলাম বসতে যাচ্ছে। বরাবরের মতো এবার অংশ নেবে বলিউড তারকা শাহরুখের কেকেআর (কলকাতা নাইট রাইডারর্স)। নিলামের আগে জেনে নেওয়া যাক কেকেআর যে ১০ জন ক্রিকেটারকে তার দলে নিতে পারে।
-
জনি বেয়ারস্টো: গতবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ছিলেন। ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক ১০টি ম্যাচ খেলেছিলেন গত আইপিএলে। রান করেছিলেন ৪৪৫, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৭। একটি শতরানও ছিল। ইংরেজ ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন। এবার তার দাম দেড় কোটি রুপি। উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিককে ছেড়ে দেওয়া কলকাতা বেয়ারস্টোর জন্য ঝাঁপাতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
ডিওয়াল্ড ব্রেভিস: মাত্র ১৮ বছর বয়স দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারের। শুভমন গিলকে ছেড়ে দেওয়ার পর ব্রেভিসকে নিতে পারে কেকেআর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিন নম্বরে একেবারে আদর্শ ব্রেভিস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তার রান ১৩৮, ৬, ৯৭, ৯৬, ১০৪, ৬৫, ৫০। ডিভিলিয়ার্সের নামের সঙ্গে মিল রেখে তাকে বলা হচ্ছে ‘বেবি এবি’। মাত্র ২০ লাখ রুপিতে তাকে নিতেই পারে কেকেআর। গত মৌসুমে বেঙ্কটেশ আয়ারকে যে রকম তার নিজের খেলাটা খেলতে দেওয়া হয়েছিল, ব্রেভিসকেও যদি তা করতে দেওয়া হয়, তিনি সফল হতেই পারেন। ছবি: সংগৃহীত
-
শ্রেয়াস আয়ার: কেকেআরের ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন, এবার অধিনায়ক কে হবেন। কলকাতায় এসে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন শ্রেয়স। দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে কার্যত বিতাড়িতই হয়েছেন তিনি। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে ঋষভ পান্থকে অধিনায়ক করে দিল্লি। পরে শ্রেয়াস সুস্থ হলেও তাকে আর অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়নি। শ্রেয়াস বুঝিয়েই দিয়েছেন, তিনি যে দলেই যান, অধিনায়ক হিসেবে খেলতে চান। তার দল পাওয়ার ক্ষেত্রে একটাই সমস্যা হতে পারে। সেটি হলো মোটা রুপির (২ কোটি) ন্যূনতম দর। ছবি: সংগৃহীত
-
শিমরন হেটমায়ার: দিল্লিতে শ্রেয়াসের সঙ্গে খেলেছেন। শ্রেয়াসের ঠিক পরেই নামতেন হেটমায়ার। ফলে অনেক ম্যাচে দু’জনে এক সঙ্গে ক্রিজে থেকে ব্যাট করেছেন। দু’জনকেই দলে নিলে মিডল অর্ডার নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না শাহরুখ খানের দলকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটারের একটিই সমস্যা, তিনি একেবারেই ধারাবাহিক নন। ফলে দেড় কোটি রুপি দিয়ে তাকে কেকেআর নিতে চাইবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
শাহরুখ খান: একজন শাহরুখ খান তো কলকাতা দলের সর্বেসর্বা। কলকাতা এবার দলে দ্বিতীয় শাহরুখকে নিতে পারে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন। তারপর বিজয় হজারে ট্রফিতে শাহরুখের রান ৪২, ৭৯, ৩২, ৬৬। হয়ত সেই কারণেই নিজের ন্যূনতম দর বাড়িয়ে ৪০ লাখ রুপি রেখেছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
লিয়াম লিভিংস্টোন: আন্দ্রে রাসেলের ঠিক আগে কাউকে ব্যাট করতে পাঠানোর জন্য ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন একেবারে আদর্শ। এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা মারকুটে ব্যাটার। পা বাড়িয়ে, বা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে যেভাবে বড় শটগুলো মারেন, তাতে তাকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে কেকেআর। বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারাইনের পরে দলের তৃতীয় স্পিনার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
-
শিবম দুবে: সিম বোলিং করার পাশাপাশি বড় শট মারতে পারেন। কেকেআর যদি তাকে নেয়, তবে দ্বিতীয় রাসেল হয়ে উঠতে পারেন মুম্বাইয়ের এই ক্রিকেটার। কমপক্ষে দর রেখেছেন ৫০ লাখ রুপি। তার বিপক্ষে একটি বিষয়ই যেতে পারে। তিনি একেবারেই ভালো ফর্মে নেই। ছবি: সংগৃহীত
-
মোস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশের এই বোলারের মন্থর গতির লেগ কাটারে এখনও বিষ রয়েছে। ২০১৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতকে এই মন্থর গতির লেগ কাটার দিয়েই নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন। কিন্তু তখনও অনেকে মোস্তাফিজুরকে নম্বর দিতে চাননি। সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বছরে ২৮টি উইকেট নেন। এখন অস্ত্র হিসেবে যোগ করেছেন মন্থর ইয়র্কারও। টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবেই তাকে দেখা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
ট্রেন্ট বোল্ট: গত বছর ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২৩টি উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। গত বছর বোলিংয়ে তার উন্নতি চোখে পড়ার মতো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে বোল্টই এক মাত্র ছিলেন, যিনি ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বোলিং করেছিলেন। মাত্র ১৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো গত বছর বিশ্বকাপের আগে সাত মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেননি তিনি।
-
চেতন সাকারিয়া: তার মতো কষ্টের জীবন খুব কম ক্রিকেটারের আছে। কয়েক বছর আগেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত জুতো ছিল না তার। এরপর যখন আইপিএল-এ চুক্তিবদ্ধ হন, কোভিডের জন্য হারাতে হয় বাবাকে। কিন্তু তারপরেও সাকারিয়া হাল ছাড়েননি। গত আইপিএলে ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। নিজের ন্যূনতম দাম রেখেছেন ৫০ লাখ রুপি। ছবি: সংগৃহীত