২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা ভারতীয় ক্রিকেটাররা
বছর শেষে সব অঙ্গনের তারকাদের ক্যারিয়ারের নানান রকমের হিসেব করা হয়। এ নিয়ে বিশেষ সালতামামির আয়োজন করা হয়। ক্রিকেট অঙ্গনের তারকারও এর ব্যতিক্রম নন। জেনে নিন ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করা ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম।
-
চলতি বছরে ম্যাচ ফি বাবদ আয়ের হিসেবে অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে টপকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘ফার্স্ট বয়’ হলেন পেসার যশপ্রীত বুমরা।
-
ভারতীয় বোর্ডের দেয়া বার্ষিক পারিশ্রমিক ছাড়াও ম্যাচ প্রতি অর্থ পান ক্রিকেটাররা। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য দেওয়া হয় ভারতীয় মুদ্রার ১৫ লাখ রুপি, এক দিনের ম্যাচের জন্য ৬ লাখ রুপি এবং টি-টোয়েন্টির জন্য দেয়া হয় ৩ লাখ রুপি করে।
-
এ ছাড়াও প্রতি বছর ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের গ্রেড অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়। ৪টি গ্রেডে ভাগ করা রয়েছে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের।
-
এ+, এ, বি এবং সি এই ৪টি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে ক্রিকেটারদের। এ+ গ্রেডে রয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং যশপ্রীত বুমরা।
-
বিরাট এই বছর খেলেছেন ৩টি টেস্ট, ৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি। এই ২২টি ম্যাচ খেলে তার আয় ১ কোটি ২৯ লাখ রুপি।
-
বুমরা খেলেছেন ৪টি টেস্ট, যার মধ্যে রয়েছে শনিবার থেকে শুরু হওয়া বক্সিং ডে টেস্টও। ৯টি একদিনের ম্যাচ এবং ৮টি টি২০। ২১টি ম্যাচ খেলে বুমরা এই বছর পেয়েছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ রুপি।
-
বিরাট যদি বক্সিং ডে টেস্ট খেলতেন তবে তিনিই ম্যাচ ফি বাবদ আয়ের এই তালিকায় শীর্ষে থাকতেন। কারণ তার আয়ের সঙ্গে আরও ১৫ লাখ রুপি যোগ হতো।
-
এ+ গ্রেডের আরেক সদস্য রোহিত শর্মা আয়ের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে। চোটের জন্য ২০২০ সালে অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। অস্ট্রেলিয়া সফরেও শুরুর দিকে ছিলেন না। তৃতীয় টেস্ট থেকে দলে থাকলেও সেই টেস্ট শুরু হবে ২০২১ সালে। ফলে এ বছর সেই ম্যাচ ফি বাবদ আয় আর হচ্ছে না তার।
-
রোহিত এই বছর খেলেছেন ৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৪টি টি-টোয়েন্টি। ৭টি ম্যাচে তার আয় মাত্র ৩০ লাখ রুপি।
-
তালিকায় বুমরা এবং বিরাটের পরেই রয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। এ গ্রেডে থাকা এই ক্রিকেটার ২টি টেস্ট, ৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে তিনি পেয়েছেন ৯৬ লাখ রুপি।
-
কোটি টাকার তালিকায় প্রায় ঢুকেই পড়েছিলেন জাদেজা। চোটের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুটো টি-টোয়েন্টি এবং গোলাপি বলের টেস্টে বাইরে বসতে না হলে বছর শেষে ম্যাচ ফি বাবদ তার আয়ও হতো কোটি রুপির ওপরে।