আইপিএল নিলামে দল না পাওয়া যে তারকারা বিগ ব্যাশ মাতাচ্ছেন

ডি’আর্কি শর্টের আইপিএল নিলামে বেস প্রাইস ছিল এক কোটি টাকা। কিন্তু তাকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিগ ব্যাশ লিগে অবশ্য স্বমহিমায় দেখা গিয়েছে অজি অলরাউন্ডারকে। হোবার্ট হারিকেনসের হয়ে সাত ম্যাচে ৪১.৩৩ গড়ে ২৪৮ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১২৮.৪৯। যাতে রয়েছে একটা সেঞ্চুরি ও দুটো হাফ-সেঞ্চুরি।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সাফল্য পেয়েছেন এই চায়নাম্যান। ১৭.৫০ গড়ে নিয়েছেন ছয় উইকেট। স্ট্রাইক রেট ১২! শেষ দুই ম্যাচে তিনি সেরাও হয়েছেন। তার মধ্যে একটিতে ৭০ বলে অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে। যাতে ছিল তিনটি চার ও সাতটি ছয়।

ভারতে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের দলে ছিলেন ২৯ বছর বয়সি এই ওপেনার। কিন্তু কোনো ম্যাচে সুযোগ পাননি। দেশে ফিরে গত ২৪ জানুয়ারি বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন। ২১ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট নিয়ে স্পিনার হিসেবেও ম্যাচ জিতিয়েছেন।

ডি’আর্কি শর্টের মতো অ্যালেক্স হেলসও ওপেনার। তফাত হল, হেলস হলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার। আইপিএল নিলামে তারও বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি টাকা। কিন্তু কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে নেয়নি। বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি থান্ডারের হয়ে তিনি রীতিমতো ধারাবাহিক।

এবারের বিগ ব্যাশ লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ৩৬.৫৪ গড়ে ৪০২ রান করেছেন হেলস। স্ট্রাইক রেট ১৪১.০৫। চারটি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে তার। এই মৌসুমে পারথে পারথ স্কর্চার্সের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে ৮৫ তার সর্বাধিক। তবে সেই ম্যাচে জেতেনি তার দল।

গত ২৪ জানুয়ারি হোবার্ট হারিকেনসের বিরুদ্ধে ৪২ বলে ৬৩ রান করেন হেলস। যাতে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছয়। যদিও সতীর্থদের সাহায্য পাননি তিনি। ফলে হেরে যায় তার দল। হেলসের ধারাবাহিকতা সত্ত্বেও সিডনি এই মুহূর্তে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। দল জিতেছে পাঁচটি ম্যাচে, হেরেছে সাতটিতে।

শন মার্শ ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রান করে জিতেছিলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। এবারের নিলামে তার বেস প্রাইস ছিল দেড় কোটি টাকা। কিন্তু কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে নিতে চায়নি। যদিও বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে এই বছর অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন তিনি।

এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী তিনি। ১২ ম্যাচে তিনি ৩৭.৪১ গড়ে করেছেন ৪৪৯ রান। স্ট্রাইক রেট ১২৪.০৩। এখন পর্যন্ত তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১০ জানুয়ারি মেলবোর্ন স্টার্সের বিরুদ্ধে ৬৩ রানই তার সর্বাধিক।

জিওফ মার্শের ছেলে সোজা ব্যাটে খেলতে পছন্দ করেন। হাতে রয়েছে বড় শটও। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জার্সিতে একসময় সাড়াও ফেলেছিলেন ব্যাট হাতে। কিন্তু, তার আইপিএল ক্যারিয়ারের দরজা এই মুহূর্তে বন্ধই দেখাচ্ছে।