এক নজরে দেখে নিন আজ ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের ধাক্কা সামলে আজ রাজকোটে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে টিম ইন্ডিয়া? সিরিজে ১-০ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে কি হারাতে পারবে রোহিত শর্মার দল? তার জন্য কি দলে ঘটতে পারে বড়সড় বদল? কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম এগারো, তা দেখে নেয়া যাক।
-
রোহিত শর্মা: নয়াদিল্লিতে প্রথম বলই বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে শুরু করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। কয়েক বল পরে মারেন আরও একটি চার। কিন্তু এলবিডবিøউ হন সেই ওভারেই। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি। অবশ্য রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান রোহিতের (পাঁচ বলে ৯) মতো অধিনায়ক রোহিতও ব্যর্থ। আর ভারতের হারের সেটাও কারণ।
-
শিখর ধাওয়ান: বাঁ-হাতি ওপেনার সেভাবে বড় রানে নেই অনেকদিন। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারে অনেক ডট বল খেলছেন। পরে তা পুষিয়ে দিতে পারছেন না ধাওয়ান (৪২ বলে ৪১)। একজন ওপেনারের কাছে ৪০-৪৫ বল খেলে একশোরও কম স্ট্রাইকরেট কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা অপেক্ষায় রয়েছেন যখন।
-
লোকেশ রাহুল: প্রধানত ওপেনার হলেও নয়াদিল্লিতে তাকে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল কোহলির অনুপস্থিতিতে। কিন্তু, ফের বড় রান পাননি রাহুল (১৭ বলে ১৫)। এর আগেও অনেক সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সুযোগ দু’হাতে আঁকড়ে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন কর্নাটকি। স্কোয়াডে থাকা সঞ্জু স্যামসনের নাম তাই ভেসে উঠছে।
-
শ্রেয়াস আয়ার: চার নম্বরে থিতু হতে আরও সময় প্রাপ্য মুম্বাইকরের। তবে যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তা কাজে লাগিয়েছেন শ্রেয়াস। রবিবারও ১৩ বলে ২২ রানের আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে তাকে। যদিও তা বড় ইনিংসে পরিণত করার সুযোগ হারিয়েছেন তিনি। অবশ্য দলের আস্থা রয়েছে তার উপর।
-
ঋষভ পান্থ: পাঁচ নম্বরে নেমে নয়াদিল্লিতে ২৬ বলে ২৭ করেছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। কিন্তু এই ম্যাচ সম্ভবত ভুলে যেতেই চাইবেন তিনি। কারণ, ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের ক্ষেত্রে বারবার ভুল পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে তার থেকে। ব্যাটেও বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ নষ্ট করেছেন ঋষভ। সব মিলিয়ে তার উপর চাপ বাড়ছে।
-
শিবম দুবে: অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে না পারলেও ফের সুযোগ প্রাপ্য শিবমের। নয়াদিল্লিতে চার বলে করেন মাত্র ১। রাজকোটের পিচে তার মারমার-কাটকাট ঘরানার ব্যাটিংয়ের সহায়ক। বল থমকে আসবে না সেখানে। কয়েক ওভার মিডিয়াম পেসও পাওয়া যেতে পারে তার থেকে।
-
ক্রুণাল পান্ডে: ব্যাটিয়ে আট বলে করেছিলেন ১৫। ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে অসমাপ্ত সপ্তম উইকেটে ১০ বলে যোগ করেছিলেন ২৯ রান। বাঁ-হাতি স্পিনে চার ওভারে দিয়েছিলেন ৩২ রান। কিন্তু সীমানায় দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ ফেলে সমর্থকদের চোখে খলনায়ক হয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সুযোগ প্রাপ্য তার।
-
ওয়াশিংটন সুন্দর: অলরাউন্ডার হিসেবে ক্রমশ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন তিনি। ব্যাট হাতে পাচ বলে ১৪ রানে ছিলেন অপরাজিত। এর মধ্যে দুটো বিশাল ছক্কা। প্রথম পাওয়ারপ্লে-তে বল করতে এসেও নিশানায় অভ্রান্ত ছিলেন। চার ওভারে দেন মোটে ২৫। তাকে এই ছন্দেই দেখতে চাইছে টিম ইন্ডিয়া।
-
দীপক চাহার: প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিন ওভারে একটি উইকেট নিয়ে ২৪ রান দিয়েছিলেন। ইকনমি রেট আট, যা তার মানে বেশি। দীপক নিশ্চয়ই চাইবেন লাইন-লেংথে উন্নতি করতে। ২৭ বছর বয়সি উইকেটের দুই দিকেই সুইং করাতে পারেন। যা তাকে এই ফরম্যাটে বিপজ্জনক করে তুলতে পারে।
-
শার্দুল ঠাকুর: নয়াদিল্লিতে খেলেননি, কিন্তু রাজকোটে খেলতেই পারেন শার্দুল। বাঁ-হাতি পেসার যত কাম্যই হোক না কেন, খলিলের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৯তম ওভারে পরপর চার বাউন্ডারি খেয়ে বসা গ্রহণযোগ্য নয়। লাইন-লেংথে বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকা মুম্বাইয়ের ডান-হাতি পেসার শার্দুল তাই খেলতেই পারেন।
-
যুজবেন্দ্র চহাল: নয়াদিল্লিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার। যদি তার বলে রিভিউ ঠিকঠাক নেয়া হতো, তবে আরও উইকেট পেতেন তিনি। শুধু রিভিউ নয়, ক্যাচও পড়েছে তার বলে। ২৯ বছর বয়সির বৈচিত্রের সামনে অসহায় লেগেছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।