ইতিহাস সৃষ্টি করা বিশ্ব টেনিসের নতুন তারকা
ইউএস ওপেনের ফাইনালে বিশাল বড় চমক দিয়েছেন বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু। সেরেনাকে হারিয়ে প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কানাডার ১৯ বছরের তরুণী।
-
ফাইনালে না হারলে আরও একটা রেকর্ডের অধিকারি হতে পারতেন সেরেনা। ২৪টা গ্র্যান্ডস্লাম জিতে অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্টের রেকর্ডকে স্পর্শ করার সুযোগ ছিল সেরেনার। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হল না। ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হল ফেভারিট সেরেনার।
-
চলতি বছরেই একের পর এক টুর্নামেন্ট জিতেছেন বিয়াঙ্কা। ইন্ডিয়ান ওয়েলস ওপেন এবং কানাডিয়ান ওপেন খেতাব জিতেছেন। তবে সবচেয়ে বড় চমক অপেক্ষা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ওপেন পর্যন্ত। নিউইয়র্কে ইতিহাস লিখলেন বিয়াঙ্কা ।
-
আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে সেরেনাকে ধরাশায়ী করে নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন আন্দ্রেস্কু। ২০০৬ সালে মারিয়া শারাপোভার পর কনিষ্ঠতম মহিলা হিসাবে ১৯ বছর বয়সি আন্দ্রেস্কু নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালেই জিতলেন। ছুঁয়ে ফেললেন মনিকা সেলেসকে।
-
বিয়াঙ্কার খেলার মধ্যে কিম ক্লিস্টার্সের খেলার ঘরানা খুঁজে পান বিশেষজ্ঞরা। বিয়াঙ্কার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল।
-
পিভি সিন্ধু এখন আর রানার্স নন। বিশ্ব মঞ্চে তিনি এখন সেরা। বিশ্বব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের পর ঘবিং ১৮ -র মুখোমুখি হলেন সোনার মেয়ে। জানিয়েছেন এই দিনটার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলেন। ২০১৭ -র পর অনেক বদল এনেছেন তারই ফসল এই বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে জয়। তিনি আরও বলেছেন নিজের স্কিলের পাশাপাশি ফিটনেসেও কাজ করছিলেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকেই আয়ত্তে ছিল আর সেটাতেই কাজ করেছেন তিনি।
-
বিনিদ্র রজনী কাটানোতেও এই মুহূর্তে আক্ষেপ নেই পিভি সিন্ধুর। দু’বছর ধরে এই দিনটার জন্য ভীষণভাবে অপেক্ষা করেছি। ঘুম খুব বেশি হয়নি। অবশেষে আমি সোনায় বদলাতে পেরেছি। ফিরে যাব এবং সেলিব্রেট করব।
-
মায়ের জন্মদিনে এই সাফল্য সিন্ধু স্বাভাবিকভাবেই তার এই অ্যাচিভমেন্ট মা-কে ই উৎসর্গ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তার মা এই দিন দারুণভাবে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকে ছিল। এই ঘটনা পরেই মাকে সেটা বলেন সিন্ধু। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তিনি।
-
দীর্ঘদিন ধরেই বলেছিলেন তিনি অলিম্পিক্সে সোনা ও বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিততে চান তবে জয়ের পরেও সেলিব্রশনে সেই ঝাঁঝ ছিল না সিন্ধুর। এই প্রশ্নের উত্তরেও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন ভারতের সোনার মেয়ে। তিনি বলেছেন তিনি ফোকাসড ছিলেন, শান্ত ছিলেন, শুরুটা ভালো হয়েছিল তাই ঠিকভাবে শেষ করার দিকেই মনোসংযোগ ছিল তার। মাথায় আর কিছুই ছিল না। এরপর একসঙ্গে এতগুলো অনুভূতি কাজ করছিল যে খুব বেশি বোঝার সময় পাওয়া যায়নি।
-
পরপর সিরিজে কী করে ফিটনেস লেভেল মেনটেন করেন প্রশ্নের সহজ উত্তর সিন্ধ্ুর কাছে। গোপী স্যার এখন থেকেই প্লান করে দিয়েছেন। চিত্রা অ্যাকাডেমিতে শ্রীকান্ত ভর্মার কাছে রোজ ফিটনেস করি। এটা আমার কাছে রোজকার বিষয়।
-
গোপী স্যারের সহজ টিপসেই বাজিমাত মাতছেন হায়দরাবাদী কন্যা। তার কথায় গোপীচাঁদ বলে দিচ্ছেন নিজের খেলাটা খেল। কারণ এই স্তরের প্রতি খেলোয়াড়ের মানই সমান। এবং প্রতিটা টুর্নামেন্টে এদের সকলের সঙ্গেই খেলা হয়। ফলে প্রত্যেকেই প্রত্যেককে ভীষণ ভালো জানে। কেউ যদি না কোনো ভুল করে তাহলে নিজের খেলাটা খেলে যাওয়াই ভালো।